Coronavirus: দেশজুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন
হাইলাইটস
- দ্রুত লকডাউনের ঘোষণা করায় ভারতের প্রশংসা করল ‘হু’
- জানাল ইতালি বা আমেরিকা এমন সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি করেছে
- ২১ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনে রয়েছে দেশ
নয়াদিল্লি: আমেরিকা ও ইতালির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, দেরি করলে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সঙ্কট কতটা তীব্র হতে পারে। দ্রুত লকডাউনের (Lockdown) ঘোষণা করায় ভারতের প্রশংসা করে NDTV-কে বৃহস্পতিবার একথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু'। NDTV-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ড. ডেভিস নাবারো বলেন, ‘‘এটা এমন এক অসুখ যেখানে, যত দ্রুত আমরা সাড়া দেব তত বেশি করে সংক্রমণ রুখতে পারব।'' তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত অতীতে বহু ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। একেবারে পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে তথ্য সরবরাহের যে বিষয়টি দেখা গিয়েছে তা খুবই কার্যকরী হয়েছে। আমি অমিতাভ বচ্চনের করা বিজ্ঞাপনও দেখেছি, যেখানে কী করা উচিত তা বলা হচ্ছে। ভারত খুব দ্রুত এগিয়েছে।''
"লকডাউন মিটলেও মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে", মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
২১ দিনের লকডাউন কি যথেষ্ট? নাকি এটাকে আরও বাড়ানো উচিত? এপ্রসঙ্গে ড. নাবারোর বক্তব্য, ‘‘সরকার চাইলে কোন কোন অঞ্চলে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেই তথ্য খতিয়ে দেখে নিতে পারে। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে অন্য জায়গায় লকডাউন তুলে নিয়েও ওই সব অঞ্চলে তা জারি রাখার। ফের লকডাউন অব্যাহত রাখাটা যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু সরকারের অবশ্যই সেটা করা উচিত যেটা করলে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।''
পশ্চিমবঙ্গের জন্যে কেন্দ্রের কাছে ২৫ হাজার কোটি টাকার ত্রাণ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
ভাইরাসটি ছড়ানোর জন্য চিনকে দায়ী করে বহু সমালোচনা হচ্ছে। এমনকী অভিযোগ রয়েছে ‘হু'-কে নিয়ে্ও। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চিনকে সমর্থন করছে এবং ভাইরাসের উৎস সম্পর্কিত তথ্য গোপন করার জন্য চিনকে কোনও প্রশ্ন করেনি। এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ড. নাবারো বলেন, ‘‘এটা এই নিয়ে কথা বলার সময় নয়।''
তিনি বলেন, ‘‘যখন ইতিহাস লেখা হবে তখন আমাদের বিচার করা হবে কত তাড়াতাড়ি আমরা এই অতিমারীকে রুখতে সচেষ্ট হয়েছি তার উপরে ভিত্তি করে। একটা সময় আসবে যখন আমরা বিস্তারে বলব কী করে এসব শুরু হল এবং তাকে সমাধান করা হল। এটা এই নিয়ে কথা বলার সময় নয়। আমি বিশ্বের সমস্ত নেতাকে একথা বলতে চাই। এই সময়ে দাঁড়িয়ে অভিযোগ না জানিয়ে আমাদের লড়াই করতে হবে অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে।''
ভারতে এ পর্যন্ত প্রায় ২,০০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। মৃত অন্তত ৫০। তবে এই পরিসংখ্যান ইতালি বা আমেরিকার থেকে অনেক কম। সেখানে যথাক্রমে ২ লক্ষ ও ১ লক্ষ সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে চিনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়তে থাকার পর ইতালিতে ১৩,০০০, স্পেনে ১০,০০০ ও আমেরিকায় ৫,০০০ জন মারা গিয়েছেন করোনা আক্রান্ত হয়ে।