Covid-19: অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সীরাই করোনা ভাইরাসের আক্রমণে কাহিল হচ্ছেন, বললো কেন্দ্রীয় সরকার
হাইলাইটস
- দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা লাগাতার বেড়ে চলেছে
- তবে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওই রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্য়াও
- দেশের ৮৫ শতাংশ করোনা রোগীই ৪৫ বছরের বেশি বয়সী, বলছে সরকারি পরিসংখ্যান
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) আক্রমণে কাবু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বয়সীদেরই, বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ভারতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকা খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, দেশে এই রোগে আক্রান্ত হয় মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে ৮৫ শতাংশের বয়সই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে (Corornavirus Age Group of People Dying)। আবার দেশে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা এখন মারা যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মৃত্যুর কারণই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, বলছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Health Ministry)। "তাই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উচিত ৪৫ ঊর্ধ্ব মানুষদের করোনা থেকে অতিরিক্ত সতর্ক রাখা ও তাঁদের প্রতি আলাদা করে মনোযোগ দেওয়া", বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্পেশাল ডিউটি অফিসার রাজেশ ভূষণ। সাংবাদিকদের সামনে দেশের করোনা চিত্রটি তুলে ধরার সময় ওই স্বাস্থ্যকর্তা আরও জানান, এখন ভারতের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মানুষের বয়স ৬০ থেকে ৭৪ বছরের মধ্যে, ওই বয়সী ৩৯ শতাংশ মানুষেরই মৃত্যু হচ্ছে কোভিড- ১৯ (Covid-19) এর কারণে। ৭৫ বছর বয়সী মানুষদের মধ্যে ১৪ শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে করোনার আক্রমণে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের মন্ত্রীরাই মানছেন না লকডাউন: দিলীপ ঘোষ
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্পেশাল ডিউটি অফিসার রাজেশ ভূষণ বলেন, "ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ ১৪ বছরের কম বয়সী। ভারতের কোভিড -১৯ এর কারণে মৃত্যুর মাত্র ১ শতাংশ এই বয়সী"।
জনসংখ্যার বিচারে দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে! প্রতি মিলিয়নে সংক্রমিত ৫৩৮: স্বাস্থ্য মন্ত্রক
তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যার প্রায় ১৮ শতাংশ হল ১৫-২৯ বছরের কম বয়সী মানুষজন, এই বয়সীদের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ।
বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যার ২২% মানুষ ৩০-৪৪ বছর বয়সের মধ্যে, দেখা যাচ্ছে এই বয়সীদের মধ্যে ১১% মারা গেছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বৃহস্পতিবার সকালে যে দেশে করোনা আক্রান্তের যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে দেখা গেছে, আরও ২৪,৮৭৯ জন মানুষ নতুন করে ওই রোগে সংক্রমিত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে বৃহস্পতিবারই। কোভিড- ১৯ মহামারী রূপে দেখা দেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত এদেশে প্রায় ৪.৭৬ লক্ষ মানুষ সুস্থ হয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এখনও পর্যন্ত মোট ২১,১২৯ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।