করোনা অতিমারীর (Corona Pandemic) মোকাবিলায় ন্যূনতম শিথিলতা দেখিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখা উচিত দিল্লির (Delh)। সোমবার একথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan)। তবে এটা তাঁর ‘‘ব্যাক্তিগত মত'' বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গত সপ্তাহে কেন্দ্রের গাইডলাইনের ভিত্তিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন রাজ্যের পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন মন্তব্য রাখেন তিনি। তখনই উঠে আসে দিল্লির প্রসঙ্গ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে দিল্লি নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়। অনেকেই এটাকে রাজনৈতিক মন্তব্য বলে ধরে নেবেন। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি দিল্লি দেশের গুটিকয় রাজ্যের অন্যতম যেখানে করোনার মোকাবিলায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।''
মদের দোকানের সামনে লাইন কালীঘাটে, সরাতে মৃদু লাঠিচার্জ পুলিশের
তিনি আরও বলেন, ‘‘কেবল মাত্র ন্যূনতম শিথিলতারই অনুমোদন দেওয়া উচিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে বিস্তারিত গাইডলাইন দিয়েছে, সেই গাইডলাইন অনুযায়ী পরিস্থিতির মোকাবিলায় কনা ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্যগুলিকে।''
এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫০০ ছাড়িয়েছে। যা দেশের মধ্যে তৃতীয় সর্বাধিক। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। শহরে ৯০টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষিত হয়েছে। রবিবার ৪২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে একদিনে সর্বাধিক সংক্রমণের রেকর্ড।
দেশে COVID-19 আক্রান্ত হয়ে মৃত ১,৩৭৩ জন! আক্রান্ত ৪২,৫৩৩! এক ঝলকে, কোন রাজ্যে কত মৃত্যু
রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, রাজধানী লকডাউন তুলে দিতে প্রস্তুত। এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিকে খুলে দেওয়ার সময়ে এসে গিয়েছে। করোনা ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে জীবনধারণ করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে আমাদের।''
তিনি বলেন, কেবল কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি অংশের লকডাউন তুলে নিতে প্রস্তুত দিল্লি।
সোমবার সকালে দিল্লিতে মদের দোকানগুলি খুলে দেওয়া হলে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মদের দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। সামাজিক দূরত্ব মানার প্রয়াস সেভাবে চোখে পড়েনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে সামান্য বলপ্রয়োগ করতে হয়।
বেসরকারি অফিসও খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়ে। বিয়ের অনুষ্ঠানও করা যাবে। তবে সর্বোচ্চ ৫০ জন সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন। শেষকৃত্যের সময় ২০ জনের বেশি থাকা যাবে না।
গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০,০০০ ছাড়িয়েছে। ১,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন সংক্রমণের ফলে।