Read in English
This Article is From Apr 13, 2020

ভোর ছ’টা থেকেই দু’মুঠো অন্নের জন্য লাইন! লকডাউনে চরম বিপাকে দরিদ্ররা

রোজ সকালে একটি খালি টিফিন বাক্স রেখে লাইন দেন এক ব্যক্তি। কিন্তু কোনও নিশ্চয়তা নেই সারা দিনের প্রতীক্ষার পর খাবার মিলবে কিনা।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by

দিল্লিতে ২,৫০০ কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে দ্বিপ্রাহরিক ও নৈশভোজ বিতড়িত হচ্ছে।

নয়াদিল্লি:

সকাল হতে না হতেই রাস্তায় একের পর এক ব্যাগ, পাত্র, বালতির ভিড়। তাও এই সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্বের (Social Distance) নিয়ম মেনে। আসলে এটা একটা লাইন। বেলা বাড়লেই ওই সব জড়বস্তুর সঙ্গে দেখা মিলছে মানুষেরও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁরা অপেক্ষা করেন ‌খাবারের জন্য। দিল্লি (Delhi) সরকার দৈনিক দরিদ্রদের জন্য খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছেন। সেই খাবারের জন্যই এই লাইন, যা পড়ে যায় সকাল থেকেই। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির বাদলি নামের এক স্থানে অবস্থিত সরকারি স্কুলে ৫০০ জনের লাইন পড়ে বিনামূল্যে বিতড়িত খাবারের জন্য। ডাল, ভাত ও সবজি খেতে জমা হওয়া সেই লাইন এখন ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ১,২০০-রও বেশি মানুষ দু'মুঠো অন্নের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন এখানে।

লকডাউনের পর থমকে গিয়েছে দেশ। চলছে না যানবাহন। এই এলাকার এক অটো চালক জানাচ্ছেন, ‘‘কখনও কখনও ভোর ছ'টায় এসে লাইন দিতে হয়।''

করোনার সঙ্গে লড়তে এক মাসের সন্তান কোলে কাজে ফিরলেন আইএএস আধিকারিক, ছবি ভাইরাল

Advertisement

দিল্লিতে এমন ২,৫০০ কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে দ্বিপ্রাহরিক ও নৈশভোজ বিতড়িত হচ্ছে। দিল্লি সরকার জানাচ্ছে ১ এপ্রিল থেকে তারা দৈনিক ১০ লক্ষ মানুষের খাবারের বন্দোবস্ত করছে। কিন্তু ঘটনা হল, অনেককেই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টার অপেক্ষার পরও হতাশ হতে হয়েছে এমন এক ব্যক্তি জানাচ্ছেন, ‘‘কখনও কখনও পালা আসার আগেই খাবার ফুরিয়ে যাচ্ছে।'' রোজ সকালে একটি খালি টিফিন বাক্স রেখে লাইন দেন তিনি। কিন্তু কোনও নিশ্চয়তা নেই সারা দিনের প্রতীক্ষার পর খাবার মিলবে কিনা।

Advertisement

"লকডাউনের নিয়ম কেউ ভাঙবেন না": পথে পথে ঘুরে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন যমরাজ!

লাইন যত বাড়তে থাকে পুলিশ নজর রাখে, যেন কেউ অন্যের কাছে ঘেঁষে দাঁড়ান। সামাজিক দূরত্ব সকলেই যাতে বজায় রাখেন, তা খেয়াল রাখা হয়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,১৫৪ জন। মৃত ২৪।

Advertisement