This Article is From Mar 09, 2020

আইসোলেশন ওয়ার্ডের মৃত ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ নেই, জানাল স্বাস্থ্য দফতর

স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের ডিরেক্টর অজয় চক্রবর্তী জানান, সম্ভবত ডায়াবেটিকের কারণেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে

আইসোলেশন ওয়ার্ডের মৃত ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ নেই, জানাল স্বাস্থ্য দফতর

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ওই ব্যক্তির রক্ত এবং নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস ধরা পড়েনি (প্রতীকি ছবি)

কলকাতা:

রবিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে (Murshidabad Medical College and Hospital) চিকিৎসাধীন এক ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যুতে রাজ্যে করোনা (Coronavirus) আতঙ্ক ছড়ায়, গুঞ্জন ছড়ায়, তবে কি ভাগীরথির পাড়েও হানা দিল এই মারণ ভাইরাস। তবে সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ওই ব্যক্তির রক্ত এবং নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস ধরা পড়েনি, মুর্শিদাবাদের ওই ব্যক্তির অন্য কারণে মৃত্যু হয়েছে। কয়েকদিন আগে সৌদি আরব থেকে ফিরেছিলেন মুর্শিদাবাদের ওই ব্যক্তি, তারপরেই তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন ধরেই মুর্শিদাবাদের যুবক জিনারুল শেখ হাই ডায়াবেটিকে ভুগছিলেন৷

দেশে করোনা আক্রান্ত ৪৩, কেরলে আক্রান্ত ৩ বছরের শিশু, জম্মু-কাশ্মীরে ১ মহিলা

স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানান, “তাঁর রক্ত পরীক্ষার নমুনায় দেখা গিয়েছে যে, করোনা ভাইরাসের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়নি...তিনি জ্বর, কাশি ও ঠাণ্ডায় ভুগছিলেন, যেটি এই মারণ রোগের লক্ষণ, সেই কারণেই তাঁকে আইসোলেশ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল”। ডায়াবেটিক আক্রান্ত ওই ব্যক্তির অন্য কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।

স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের ডিরেক্টর অজয় চক্রবর্তী জানান, সম্ভবত ডায়াবেটিকের কারণেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, “ওই ব্যক্তির উচ্চ ডায়াবেটিক ছিল এবং ইনসুলিন চলছিল। তিনি সৌদি আরব থেকে ফিরেছিলেন এবং গত তিন চারদিন ধরে তাঁর ইনসুলিন নেওয়ার মতো অর্থ সামর্থ্য ছিল না”।

মারণ ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত আরও ৩! ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৪

সৌদি আরব থেকে ফেরার পর থেকেই, ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায়, তাঁর পরিবারের লোকজনদের আলাদা করে রাখা হয়েছে। অজয় চক্রবর্তী বলেন, “সন্দেহ করা হয়েছিল যে, ওই ব্যক্তির শরীরে মারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে। আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইনি, সেইজন্যই, তাঁর পরিবারকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা নেতিবাচক আশায়, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে”।

সৌদি আরবের ওমানে এক ঠিকাদার এর তত্ত্বাবধানে একটি হাসপাতালে সাফাইকর্মীর কাজ করতেন জিনারুল। এরপরে হঠাৎ করেই ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরেই তাঁকে ওই ঠিকাদার দেশের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন। শনিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।

করোনা ভাইরাস আর সাধারণ জ্বর; পার্থক্য বুঝবেন কী করে

বাড়ি ফিরে এসে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন জিনারুল। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করে নেন। জ্বর ও কাশি থাকায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়, পরে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ তবে জানা যায়, করোনা ভাইরাস নয়, ডায়াবেটিসের কারণেই মারা গেছেন তিনি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.