সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকাংশই ওই গোষ্ঠীর নিন্দা করেছে বলে জানান নখভি।
নয়াদিল্লি: কোনও একটি গোষ্ঠীর ‘অপরাধ'-এর জন্য সমগ্র মুসলিম (Muslim) সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা উচিত নয়। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নখভি (Mukhtar Abbas Naqvi ) বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন। কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণের বিষয়ে দিল্লির তাবলিগি জামাতের ধর্মীয় সমাবেশের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রসঙ্গে সব মুসলিমদের দায়ী করা প্রসঙ্গে একথা বলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকাংশই ওই গোষ্ঠীর নিন্দাই করেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে লকডাউনের সময় রমজানের মাসে গাইডলাইন মেনেই চলবেন মুসলিমরা।নখভি জানাচ্ছেন, ইমাম, উলেমা ও মুসলিম সংগঠনগুলি সিদ্দান্ত নিয়েছে রমজানের সময় মুসলিমরা মসজিদে একত্রিত হবেন না। ইফতার ও তারাবি পালন করবেন বাড়িতেই।
মুখতার আব্বাস নখভি জানাচ্ছেন, তিনি রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন ইমাম, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও। তাঁদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন রমজানের সময়ে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রসঙ্গে।
নিজামুদ্দিনের তাবলিগি জামাত সমাবেশ থেক করোনা সংক্রমণ ছড়ানো প্রসঙ্গে মুসলিমদের করোনা অতিমারির জন্য দায়ী করছে কিছু মানুষ। এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে নখভি বলেন, কখনও কোনও একটি গোষ্ঠীর ‘অপরাধ'-এর জন্য সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা যায় না।
তিনি বলেন, ‘‘ওই সংগঠন যাই করে থাকুক না কেন, অপরাধকে অবহেলা অথবা অপরাধ... অধিকাংশ মুসলিমরাও এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এর নিন্দা করে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দাবি করেছেন। কোনও একটি গোষ্ঠী বা ব্যক্তির ‘অপরাধ'-এর জন্য সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়কে দায়ী করা যায় না।''
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, ১৪,৩৭৮ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৪,২৯১ জন নিজামুদ্দিনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। শতাংশের হিসেবে ২৯.৮ শতাংশ।
গত মার্চে নিজামুদ্দিনে ওই ধর্মীয় সমাবেশে বহু দেশ থকে প্রতিনিধি আসেন। পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে বহু করোনা সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসে।
নখভির দাবি, যারা মুসলিমদের টার্গেট করছে তারা বিক্ষিপ্ত মানুষ। তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে সকলকে একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে লড়বার আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।