Bengaluru: বাসিন্দাদের সমেত সিল করে দেওয়া হয় এই ফ্ল্যাটের দরজা
হাইলাইটস
- বেঙ্গালুরুর একটি পুরসভার কর্মীরা সিল করে দিলেন দুটি ফ্ল্যাট
- ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের ভিতরে রেখেই ওই কাণ্ড ঘটালেন তাঁরা
- পরে বিষয়টা বুঝতে পেরে উদ্ধার করা হল বাসিন্দাদের
বেঙ্গালুরু: করোনার (Coronavirus) ভূত যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে সবাইকে। আর সেই আতঙ্কেই বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) যা ঘটলো তাতে হাড় হিম হওয়ার জোগাড়। সেখানকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় দুটো ফ্ল্যাটের দরজা পুরোপুরি সিল করে দেন স্থানীয় পুরসভার কর্মীরা। অথচ তাড়াহুড়োতে তাঁরা খেয়ালই করেননি যে ওই দুই ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা রয়ে গেছেন ঘরের ভিতরেই। ডোমমালুর কাছে দুটি ফ্ল্যাটের দরজা সিল করার পর জানা যায় যে, ভিতরে জীবন্ত অবস্থায় আটকা পড়েছেন এক বৃদ্ধ দম্পতি ও দুই শিশু। খবর পাওয়ার পর যদিও তড়িঘড়ি তাঁদের সেই বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়। গোটা ঘটনায় ব্রাহাট বেঙ্গালুরু মহানগরা পালিকের (BBMP) কমিশনারও ওই পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে লকডাউন সত্ত্বেও করোনা আক্রান্ত ২,৪৩৬ জন, মৃত ৩৪
যদিও এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন মহল থেকে। পরে বিবিএমপি-র কমিশনার এন মঞ্জুনাথ প্রসাদ বলেন যে, ফ্ল্যাটের ব্যারিকেডগুলো তৎক্ষণাৎ খুলে দিয়ে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি পুরসভার "স্থানীয় কর্মীদের অতি উৎসাহের জন্যে" তিনি নিজে ক্ষমা চান।
মঙ্গলবার এক সপ্তাহের টানা লকডাউন শেষ হওয়ার পরেও যাতে বেঙ্গালুরুতে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ না ছড়ায় সেই জন্যে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, রাজ্যে কনটেইনমেন্ট জোনগুলির বাইরে আর কোনও লকডাউন করা হবে না। কিন্তু যেখানে সংক্রমণের খবর মিলবে সেখানে দ্রুত আক্রান্তের ঘর-বাড়ি সিল করে দেওয়া হবে। ইয়েদুরাপ্পার সেই নির্দেশকে বাস্তবে পরিণত করতে গিয়ে তড়িঘড়িতেই তাই ওই ঘটনা ঘটে বলে মনে করছেন অনেকেই।
দুর্গাপ্রতিমা বরাতে ৫০% অগ্রিম! অস্তিত্বের সংগ্রামে নয়া নিয়ম কুমোরটুলির
মুখ্যমন্ত্রীও বাসিন্দাদের কাছ থেকে সহযোগিতা করার আবেদন করেছিলেন এবং ৫৫ বছর বয়সের বেশি বয়সীদের - যাকে চিকিত্সা বিশেষজ্ঞরা ভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে - - বাড়ির ভিতরে থাকতে অনুরোধ করেন।
কর্নাটকে বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ এ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫,০০০ এরও বেশি মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। ওই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ৮০,৮৬৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।