‘ফেস মাস্ক’ ও অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত দ্রব্যাদি চিনে রফতানি করাতেও নিষেধ জারি করেছে ভারত
হাইলাইটস
- কলকাতায় এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে একজনেরও আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই
- তবু শহরে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায় অনেকেই ভীত
- কলকাতার যে পড়ুয়ারা চিনে পড়াশোনা করছেন তাঁদের আপাতত সেদেশে যাওয়া স্থগিত
কলকাতা: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) প্রকোপে মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। সারা পৃথিবীতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৩৭,০০০। কিন্তু কলকাতায় এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে একজনেরও আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। তা সত্ত্বেও শহরে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায় অনেকেই ভীত। চিনের উনান প্রদেশের শহর কানমিং। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতার যে পড়ুয়ারা পড়েন তাঁদের আর সেখানে পড়তে যাওয়ার ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি যে চিনা ব্যক্তিরা কলকাতার চিনা সংস্থায় কর্মরত, তাঁদেরও এমাসের গোড়া থেকে এদেশে আসার অনুমতি মিলছে না ‘ওয়ার্ক পারমিট' থাকা সত্ত্বেও। ‘ফেস মাস্ক' ও অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত দ্রব্যাদি চিনে রফতানি করাতেও নিষেধ জারি করেছে ভারত।
NDTV কথা বলেছিল ‘কানমিং মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি'-র পঞ্চম বর্ষের দুই পড়ুয়ার সঙ্গে। এঁদের মধ্যে মহম্মদ ইব্রাহিম ১৮ জানুয়ারি দেশে ফেরেন চিনা নববর্ষের ছুটিতে। অন্যজন, রবিনা সিংহ ২৪ তারিখ দেশে ফিরেছেন। উহানের অন্তত ৩৮ জন বাসিন্দা কানমিংয়ে ফিরে যাওয়ার পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মহম্মদ ইব্রাহিম ও রবিনা সিংহ— উভয়কেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এখন চিনে ফেরা যাবে না। ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আপডেট না মেলা পর্যন্ত তাঁরা ফিরতে পারবেন না বলে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইব্রাহিম জানাচ্ছেন, তাঁর দেশে ফেরার কথা ২৯ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আপাতত জানিয়ে দিয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের অপেক্ষা করতে। তারপর তারা বিশদে সমস্তটা জানাবে বলে জানা গিয়েছে। ইব্রাহিম জানাচ্ছেন, ‘‘অবশ্যই আমি ফিরে যেতে চাই এবং আমার পড়া শেষ করতে চাই। কিন্তু অভিভাবকরা ভয় পাচ্ছেন বলে আমি রয়ে যাচ্ছি।''
রবিনা সিংহ জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা আমাদের কো-অর্ডিনেটরদের সঙ্গে কথা বলেছি। কথা বলেছি ক্লাসের শিক্ষক ও কলেজ প্রশাসনের কর্মীদের সঙ্গেও। তাঁরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে।''
কেবল পড়ুয়ারা নন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। চিনে রাসায়নিক সরবরাহ করেন বারাসতের মনোজ আগরওয়াল। ২২ ফেব্রুয়ারি শাংহাইয়ে তাঁর চিনে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে কৃষি রাসায়নিক এবং যন্ত্রপাতি মেলায় যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তাঁর যাওয়ার পরিকল্পনা ত্যাগ করেছেন।