অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনাবেচা নিয়ে সংশয়।
দেশব্যাপী লকডাউনের (Lockdown) সময় গোটা দেশের জনজীবন কার্যত স্তব্ধ। এই পরিস্থিতিতে ভারতের গয়নার (Gold) দোকানগুলিও বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshaya Tritiya) সোনার গয়না কিনতে চাওয়া ক্রেতারা পড়েছেন আতান্তরে। আগামী রবিবার অক্ষয় তৃতীয়া। ওইদিন সোনা কিনলে সৌভাগ্য ফেরে বলে লোকায়ত বিশ্বাস। এই পরিস্থিতিতে কী করে সোনা কেনা যায় ভেবে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। এদিকে সোনার দাম বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। সেই সঙ্গে বৃদ্ধির হারও কমছে। আইসিআরএ লিমিটেডের হিসেবে অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনার চাহিদা থাকে ২০ থেকে ২৫ টন। কিন্তু এবছর সেই ছবি একেবারে অন্য। লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে অক্ষয় তৃতীয়ায় সেভাবে বিক্রির সম্ভাবনা দেখছেন না সোনা বিক্রেতারা। যেহেতু দোকান খোলা যাচ্ছে না, তাই অনলাইনে বিক্রি করার কথা ভাবতেই হচ্ছে। কিন্তু দেশের সোনা বিক্রেতাদের একটি বৃহৎ অংশই গ্রাম্য এলাকায় থাকে। সেখানে ইন্টারনেটের সংযোগ দুর্বল হওয়ায় এবং ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সমস্যা থাকায় তাঁদের পক্ষে সেটা করাও কঠিন। তাছাড়া ওই অঞ্চলের বাসিন্দারাও টেক স্যাভি নন। তাঁরাও সামনাসামনি দোকান থেকেই সোনা কিনতে পছন্দ করেন।
বিখ্যাত সংস্থার সিনিয়র অ্যানালিস্টের মতে, ভারতে সোনার চাহিদা কমে গিয়েছে এর মূল্য আকাশছোঁয়ার হয়ে যাওয়ায়। সেই সঙ্গে ধীর অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারের কারণে সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। তাঁর মতে, ‘‘অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি উন্নতি করছে। কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলেই দেশের সোনা কেনাবেচার পরিমাণ বেশি। সেখানে ওই ব্যবস্থা ততটা প্রচলিত নয়।''
দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস করেন গ্রামীণ অঞ্চলে। ২০১৬ সালের নোটবন্দির সময় থেকেই তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। এবারের লকডাউনে সেই সমস্যা আরও তীব্রতর হয়েছে।
তবুও বহু সোনা বিক্রেতারা লক্ষ করেছেন অনেকেই বাড়ি থেকে সোনা কিনতে চাইছেন ঐতিহ্যের দাবিতে। ভারতের সর্ববৃহৎ সোনা বিক্রেতা টাইটান কেম্রানি জানিয়েছে, তাদের নিয়মিত ক্রেতাদের অর্ধেকেরও বেশি অনলাইনে সোনাই কিনতে চাইছেন এই সময়ে।
এখনও অনাবশ্যক সামগ্রীর ডেলিভারি দেশে নিষিদ্ধ। তাই অনলাইন সংস্থাগুলি অফার দিচ্ছে এখন সোনা বুক করে রাখার জন্য। পরে সময়মতো তা ডেলিভারি করা হবে।