দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
নয়া দিল্লি: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ৬% বেড়েছে (6% growth in India) । শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হিসেবে এই পরিসংখ্যান। এদিন জানিয়েছে,স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র। সেই সূত্রের আরও দাবি, "মার্চের নিরিখে দিনপ্রতি এই সংক্রমণের (Corona) হার সর্বনিম্ন। গত মাসেই ১০০ ছাড়িয়েছিল সংক্রমণ। দিনপ্রতি বিচারে বৃদ্ধির হার ছিল উদ্বেগজনক।" শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপার্ষদের একটি বৈঠক হয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Dr. Harsh Vardhan) হর্ষ বর্ধনের নেতৃত্বাধীন সেই বৈঠক থেকেই এই পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সেই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, দিনপ্রতি মৃত্যুর হার ৩.১% আর সুস্থ হওয়ার হার ২০%। এই ধারা অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক। অন্তত বাইরের অন্য দেশগুলোর বিচারে সংক্রমণ-সহ মৃত্যুর হার কমায় উদ্বেগ খানিকটা কমছে। এদিন এমন দাবি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Health Ministry) এই সূত্র।
তহবিল বন্ধ করল ফ্র্যাঙ্কলিন টেমপ্লেটন! ২০০৮ সালের উদাহরণ টানলেন পি চিদাম্বরম
সরকারি পরিসংখ্যান সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪২৯টি নতুন সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। এই সংখ্যা ধরে শনিবার পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রমিত ২৪,৫০৬ জন। তবে বৃহস্পতিবার-শুক্রবার হিসেব করলে ২৪ ঘণ্টায় ১৭৫২ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছিল। যা একদিনে সর্বাধিক বৃদ্ধি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল মন্ত্রক। সেই তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টার ৬% বৃদ্ধি অনেকটা আশাব্যাঞ্জক। এমনটাই দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
রাজ্যে করোনা চিকিৎসার হালচালে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় দল, মুখ্যসচিবকে দেওয়া হল চিঠি
শনিবার সকালে মন্ত্রীপার্ষদের বৈঠকে দ্বিগুণ সংক্রমণের হার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখন ৯.১ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে সংক্রমণ। শুক্রবার পর্যন্ত ১০ দিনে দ্বিগুণ হয়েছে সংক্রমণ। লকডাউনের আগে পর্যন্ত ৩.৪ দিনে দ্বিগুণ হয়েছে সংক্রমণ। গ্রাফের এই নিম্নমুখী সূচক আশা দেখাচ্ছে চিকিৎসকদের। জানা গিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত একটা সপ্তাহ ধরলে গত ৭ দিনে ২০.৬৬% মানুষ সুস্থ হয়েছে। গত সপ্তাহে এই হার ছিল ৯.৯৯%।
এদিন রাজ্যভিত্তিক সংক্রমণের হার, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পরিকাঠামো নিয়েও আলোচনা হয় মন্ত্রীপার্ষদের বৈঠকে। হটস্পট পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও নমুনা পরীক্ষা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। জানা গিয়েছে, দেশের মোট সংক্রমিতের ৫০% মহারাষ্ট্র আর দিল্লির। মহারাষ্ট্রে মোট সংক্রমিত ৬৮০০। পাশাপাশি সংক্রমণের বিচারে ১০০০ ছাড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান। বিশ্বব্যাপী হিসেবে মোট সংক্রমিত ২৮ লক্ষ আর মৃত প্রায় ২ লক্ষ।
(PTI থেকে সংগৃহীত)