৮৩ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৩ জনকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে বলে জানানো হয় রাজ্যের তরফে
কলকাতা: রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাস( Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ১২ জন, এই নিয়ে এ রাজ্যে করোনা ভাইরাস (COVID 19) আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ থেকে বেড়ে হল ৮৩, এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। রাজ্যে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নতুন করে আর বাড়েনি। ৮৩ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৩ জনকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে বলে জানানো হয় রাজ্যের তরফে। তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও আরও দুজনকে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৮৬৮ জনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।
রাজ্যে ১৭৭ জন তাবলিগি সদস্যকে কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
দিল্লিতে তবলিঘি জামাতের(Tablighi Jamaat) জমায়েতের কারণে অনেকটাই বেডে গিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিভিন্ন রাজ্যে জামাতের সদস্যরা ছড়িয়ে থাকার কারণে, রাজ্যগুলিতেও ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নিজামুদ্দিনকে করোনার অন্যতম আতুঁরঘর চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরাজ্যের তরফে জামাত সদস্যদের খুঁজে বের করে আইসোলেশনে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ভয়ঙ্কর রোগের সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্যে ইতিমধ্যেই ১৭৭ জন তাবলিগি সদস্যকে কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে, জানান তিনি।
করোনা পরবর্তী পর্যায়ে দেশের আর্থিক ভবিষ্যৎ কী, দেখে নিন আরবিআইয়ের ইঙ্গিত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই ১৭৭ জনের মধ্যে আবার ১০৮ জন বিদেশিও রয়েছেন। "নিজামুদ্দিন ফেরত ১০৮ জন বিদেশিকে আমাদের এখানে কোয়ারান্টাইন করে রেখেছি। তাঁরা কেউ মায়ানমার, কেউ ইন্দোনেশিয়া, কেউ বাংলাদেশের নাগরিক। সঙ্গে বাংলারও ৬৯ জনকেও রাখা হয়েছে। নিউটাউনের হজ হাউসে মোট ১৭৭ জন তাবলিগি সদস্য কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আমাদের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা গোটা পরিস্থিতির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন”, নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
করোনার থাবা থেকে শিশুদের দূরে রাখতে চান, দেখে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় রাজ্যের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে টাস্কফোর্স গঠন। বুধার নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন কাজের জন্য আলাদা টাস্কফোর্স গঠনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, তিনটি টাস্কফোর্সের মধ্যে, নিষেধাজ্ঞা ও ছাড় সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের মাথায় রয়েছেন মুখ্যসচিব, রাজ্যের কোন কোন ক্ষেত্রগুলিকে ছাড় দেওয়া হবে এবং কোনগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হবে, তা নিয়ে পর্যালোচনা এবং চিন্তাভাবনা করবে এই টাস্কফোর্স। অর্থসচিবের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছে অর্থনীতি সম্পর্কিত টাস্কফোর্স, রাজ্যের আর্থিক দিকটি দেখভাল করবে এই টাস্কফোর্স। এছাড়াও রয়েছে এনফোর্সমেন্ট টাস্কফোর্স, যার মাথায় রয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব।