শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হল। শুধুমাত্র কন্টেনমেন্ট এলাকা ছাড়া দেশের বাকি অংশে আগামী ৮ জুন থেকে শপিংমল ও রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃরাজ্য চলাচল ও পণ্য সরবরাহের উপরে জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সময়সীমা কমিয়ে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা অবধি লাগু থাকবে নাইট কার্ফু। সিনেমা, স্কুল, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, জেলা কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত কনটেনমেন্ট জোনে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে কেবল মাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাই চালু থাকবে।
গত এক সপ্তাহে দেশে কোভিড-১০ সংক্রমণ ছড়িয়েছে প্রায় ৫০,০০০ মানুষের শরীরে। এই সপ্তাহের গোড়ার দিকেই ভারত ঢুকে পড়ে করোনা-বিধ্বস্ত দেশের তালিকার প্রথম দশে।
সংক্রমণের দ্বিগুণ হওয়ার হার ১৫.৪ দিন থেকে কমে ১৩.৩ দিন হয়েছে বলে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে। মৃত্যুহার একই রয়েছে— ২.৮৬ শতাংশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে একথা জানা গিয়েছে।
দেশের সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত রাজ্য মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৬২,০০০। শনিবার রাজ্য পুলিশ ১১৪ জনের সংক্রমণের কথা জানতে পেরেছে।
দিল্লিতে সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ১৮,০০০। শনিবার রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছেন ১,১৬৩ জন। যা একদিনের নিরিখে রাজ্যের সর্বাধিক সংক্রমণের নয়া রেকর্ড।
এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৯০,০০০ মানুষ। শুক্রবার রেকর্ড সংখ্যক ১১,০০০ জন সুস্থ হয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে।
সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০ লক্ষ ছাড়িয়েছে।
শনিবার করোনা সংক্রমণে আমেরিকায় ৯৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১,০৩,৭৫৮। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭৬৯,৭৭৬। যা সারা বিশ্বের যে কোনও দেশের ক্ষেত্রে সর্বাধিক।