রবিবার রাত ন'টার কর্মসূচি পালনে প্রভাবিত হবে না পাওয়ার গ্রিড: বিদ্যুৎ মন্ত্রক

৫ এপ্রিল রাত ন'টায় নয় মিনিটের জন্য বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

রবিবার রাত নটার কর্মসূচি (Switch off Lights) পালন হলে বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে দেশ। এমন আশঙ্কা করছে একাধিক রাজ্য। সেই রাজ্যের বিদ্যুৎ কর্তাদের দাবি, "চাহিদা-জোগানের তারতম্যে বসে যেতে পারে গ্রিড। বিকল হয়ে যেতে পারে বাড়ির টিভি, ফিজ, এসি'র মতো হাইভোল্টেজ সামগ্রি।" তাই এখন থেকেই আতঙ্কে বিদ্যুৎ কর্তারা। শনিবার অবশ্য সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক (Power Ministry)। তাদের মত, "গণহারে নয় মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ থাকলে, কোনও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিকল হবে না। তাছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এমন সংস্থার বিদ্যুৎ নেভানো হবে না।" রীতিমতো বিবৃতি জারি করে বিদ্যুৎ মন্ত্রক জানিয়েছে, "কিছু পক্ষ আশঙ্কা করছে, এই কর্মসূচির জেরে প্রভাবিত হবে পাওয়ার গ্রিড (Power Grid)। ভোল্টেজের তারতম্যের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এই আশঙ্কা দূর করা হল।"

আগামীকাল মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে কম্পিউটার, পাখা, এসি বন্ধ করার দরকার নেই; স্পষ্ট করল সরকার

সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পথের আলো, পাখা, ফ্রিজ, এসি, ল্যাপটপ বন্ধ করতে বলা হয়নি। শুধু ঘরের আলো বন্ধ করতে আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জরুরিকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সংস্থার আলো বন্ধ হবে না। সব পুরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তার আলো জ্বালিয়ে রাখতে। ইতিমধ্যে, ব্ল্যাকআউট আটকাতে অনেক রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। 

৫০ মিনিট গাইলেন শ্রেয়া! মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতারা ঘরবন্দি আপনা থেকেই

চাহিদা-জোগানের তারতম্য যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে উত্তরপ্রদেশে রবিবার রাত ৮টা-৯টা লোডশেডিং করা হবে। এমনটাই জানিয়েছে সে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর। একইভাবে তামিলনাড়ুতে রাখা হবে লোডশেডিং। মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ মন্ত্রী নীতিন রাই বলেছেন, আমরা বাড়ির আলো বন্ধ করব কিনা, ভেবে দেখব। একইসময়ে সব আলো বন্ধ করে আবার চালু করলে গ্রিডের ওপর প্রভাব পড়বে।" এদিকে, ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের জেরে দেশে মৃত্যু ৬৮। সংক্রমিত ছুঁয়েছে প্রায় ৩ হাজার।