নয়াদিল্লি: সংক্রমণ চিকিৎসায় কমদামি স্টেরয়েড (Covid-19 treatment) ডেক্সামেথাসোন ব্যবহারে অনুভতি দিল ভারত। মিথাইলপ্রিডনিসোলোনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এই স্টেরয়েড (dexamethasone drug)। মাঝারি ও আশঙ্কাজনক কোভিড-১৯ রোগীর জন্য এই উদ্যোগ। সম্প্রতি ব্রিটিশ গবেষণাগারে পাশ করেছে এই ড্রাগ। তাই ব্যাপকহারে এর উৎপাদন বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে হু। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry) সংশোধিত গাইডলাইনে এই স্টেরয়েড ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গ স্বাদ ও গন্ধ বিলোপ পাওয়াকে গাইডলাইনে জায়গা দিয়েছিল। আর্থারাইটিসের মতো রোগে রোগীদের উপশম দিতে এই স্টেরয়েড অব্যর্থ। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর অক্সিজেন সাপোর্ট খুলতে এই স্টেরয়েড কার্যকরী। ব্রিটিশ গবেষণাপত্রে সেই কার্যকরী উল্লেখ করা হয়েছে।
একদিনের মধ্যে আরও ১৮,৫৫২ জনের শরীরে বাসা বাঁধলো করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। জানুয়ারি থেকে যে রোগ (Coronavirus Cases) মৃত্যুদূতের মতো গুঁড়ি মেরে আমাদের দেশে (India) এসে একের পর এক মানুষকে তার আক্রমণের লক্ষ্য করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তার প্রভাব এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। রোজই যেন নতুন করে সংক্রমণের এক নতুন রেকর্ড গড়ছে কোভিড- ১৯ (COVID- 19)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক শনিবার সকালে যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫,০৮,৯৫৩ জন। একদিনের মধ্যে আরও ৩৮৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ফলে দেশে মোট ১৫,৬৮৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এই মারণ ভাইরাস। শুক্রবারও, ভারতে একদিনে আক্রান্ত হয় ১৭,০০০ এরও বেশি মানুষ। যে দ্রুতগতিতে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, দেশে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে কাবু করতে মাত্র ১৪৯ দিন সময় নিয়েছে করোনা ভাইরাস। গত আট দিন ধরে ভারতে দৈনিক কমপক্ষে ১৪,০০০ মানুষ এই রোগের কবলে পড়েছেন।
মহারাষ্ট্র সব মিলিয়ে করোনা আক্রান্ত মোট ১,৫২,৭৬৫ জন এবং সেরাজ্যে ৭,১০৬ জনের প্রাণ কেড়েছে এই রোগ। মহারাষ্ট্রে বাসিন্দাদের মধ্যে ১৭.৫২ শতাংশ মানুষ কোভিডের কবলে পড়েছেন এবং মৃত্যুর হার এখন ৪.৬৫ শতাংশ।
দিল্লিতে ৭৭,২৪০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশের রাজধানীতে মারা গেছে ২,৪৯২ জন। যে হারে সেখানে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে হাসপাতালে বেড পাওয়া ক্রমেই মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের বিচারে দেশের সব রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত বেড়ে ৭৪,৬২২ এ পৌঁছেছে এবং ৯৫৭ জন মারা গেছে সেখানে।