This Article is From Apr 17, 2020

লকডাউনের মধ্যেই ২০ এপ্রিলের পর আরও কোন কোন বিষয়ে মিলবে ছাড় জেনে নিন

Coronavirus India Lockdown: এই সময়ে গ্রামীণ অঞ্চলে জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন, বিদ্যুৎতের কাজ, টেলিকম অপটিকাল ফাইবার এবং কেবল স্থাপনের অনুমতিও দেওয়া হবে

লকডাউনের মধ্যেই ২০ এপ্রিলের পর আরও কোন কোন বিষয়ে মিলবে ছাড় জেনে নিন

Lockdown: চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই প্রধানমন্ত্রী জানান ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হবে লকডাউনের মেয়াদ

নয়া দিল্লি:

করোনা সংক্রমণের (COVID- 19) বাড়বাড়ন্ত রুখতে ২৫ মার্চ থেকে দেশে যে ২১ দিনের লকডাউন (Coronavirus India Lockdown) জারি করা হয়েছিল সেইসময় সমস্ত শিল্প-কল কারখানা সহ যাবতীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে এই লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণার সময়েই প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ২০ এপ্রিলের পর কিছু কিছু ক্ষেত্রকে এই বিধিনিষেধের আওতার বাইরে আনা যেতে পারে। সেই মতোই গত বুধবার একটি লকডাউন গাইডলাইন প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে বলা হয়, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত পরিস্থিতি (Coronavirus Cases India) বিবেচনা করে ধীরে ধীরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সেই তালিকায় আরও কিছু সংযোজন হয়েছে এবার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, নন-ব্যাংকিং ফিনান্স কর্পোরেশন এবং মাইক্রো-ফিনান্স সংস্থাগুলোর কাজও এই সময় ফের চালু হতে পারে। প্রয়োজনীয় পরিষেবা হিসাবে চিহ্নিত করে কাজ শুরু হবে নারকেল, মশলা বাঁশ, কোকো গাছের বাগান এবং বিভিন্ন বনজ উৎপাদনের কাজও। এছাড়া এই সময়ে গ্রামীণ অঞ্চলে জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন, বিদ্যুৎতের কাজ, টেলিকম অপটিকাল ফাইবার এবং কেবল স্থাপন সংক্রান্ত কাজেরও অনুমতি দেওয়া হবে।

করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে আরবিআইয়ের পদক্ষেপ, রিভার্স রেপো রেট কমল ২৫ বেসিস পয়েন্ট

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, ল্যাপটপ, জামাকাপড় এবং স্টেশনারি আইটেমগুলি আমাজন, ফ্লিপকার্ট এবং স্ন্যাপডিলের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে এবার কেনা যেতে পারে। এমনকী সেখান থেকে মুদি ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলিও কেনা যেতে পারে। অবশ্য এক্ষেত্রে কেনা জিনিসগুলো বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর জন্যে ই-কমার্স সংস্থাগুলির ডেলিভারি ভ্যানগুলিকে রাস্তায় চলার জন্যে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।

সরকার আগেই জানিয়েছিল যে, ২০ এপ্রিল থেকে ছাড় দেওয়া হবে আইটি, ই-কমার্স ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিবহণের ক্ষেত্রে। ছাড় থাকছে কৃষিকাজ ও কৃষি বিপণন এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কাজ, নির্দিষ্ট কিছু শিল্প ও ডিজিটাল অর্থনীতিতে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সাধারণ পণ্য, দুটির পরিবহণেই মিলবে ছাড়। ছাড় থাকছে মাছ, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, হাঁস-মুরগি পরিবহণ ও বিক্রিতে। চা, কফির উৎপাদন ও সরবরাহ, এবং রবার বাগানের কাজকেও লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে। গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কাজ এবং গ্রামাঞ্চলে রাস্তা, সেচ প্রকল্প, ভবন, শিল্প প্রকল্প নির্মাণের কাজেও মিলবে ছাড়।

মে মাসেই ভারতে করোনার তাণ্ডব নৃত্য! তেমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কয়লা, খনিজ, তেল উৎপাদনের কাজ চালানো যাবে। আরবিআই, অন্যান্য ব্যাংক, এটিএম, সেবি ও বীমা সংস্থাগুলির কাজ, ই-কমার্স, আইটি এবং আইটি-সংক্রান্ত পরিষেবা, হার্ডওয়্যার, প্রয়োজনীয় পণ্য এবং প্যাকেজিং শিল্পের কাজও শুরু করা যাবে ২০ এপ্রিল থেকে। খোলা রাখা যাবে ডেটা ও কল সেন্টারগুলোও।

যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বিমান, রেল ও সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বড় বড় শিল্প ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমগুলোও বন্ধ থাকবে। বন্ধ রাখতে হবে হোটেল সংক্রান্ত ব্যবসা। সিনেমা হল, থিয়েটার, শপিং কমপ্লেক্সগুলোরও ঝাঁপ বন্ধ রাখার নির্দেশ। এছাড়া আপাতত আগামী ৩ মে লকডাউন চলা পর্যন্ত যে কোনও ধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। বন্ধ থাকবে ধর্মীয় স্থানগুলোও।

.