বিভিন্ন শহর থেকে শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার গ্রামে ফিরতে পথে নেমছেন।
নয়া দিল্লি: ভয় আর আতঙ্ক, ভাইরাস সংক্রমণের চেয়েও এখন বড় সমস্যা। সোমবার দাবি করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) এসএ বোবদে। লকডাউন (Nationwide Lockdown) পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকরা দলে দলে গ্রামে ফেরা শুরু করেছেন। পরিবহণ না পেয়ে হেঁটেই ১০০ কিমি, ২০০ কিমি পাড়ি দিচ্ছেন তাঁরা (Migrants Workers)। সেই অসহায় শ্রমিকদের সুরাহা দিতে আদালতের (Supreme Court) দরবার করে জোড়া আবেদন করা হয়েছে। এদিন সেই দু'টি মামলার শুনানিতেই এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। মামলাকারীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের আরও মন্তব্য, "আমরা এমন জিনিসে এখনই মধ্যস্থতা করব না, যেটা সরকার ইতিমধ্যে তদারকি করছে। আপনাদের আবেদনে প্রার্থনা আছে। কিন্তু সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে ঢুকে পড়েছে সরকার।" জানা গিয়েছে, সোমবার ১২টা অবধি পাওয়া হিসেবে দেশে সংক্রমণের সংখ্যা ১১০০ ছাড়িয়েছে। মৃত ২৯। সুস্থ হয়েছেন বা হচ্ছেন; এমন সংখ্যা শতাধিক। যে তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের ৩ জন আছেন।
জীবাণুনাশক স্প্রে করা হল অভিবাসী শ্রমিকদের উপরে, সমালোচনা প্রিয়ঙ্কা গান্ধির
এই পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন। জানতে চাওয়া হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরাহা দিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? মঙ্গলবারের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে হবে সেই স্টেটাস রিপোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে এমনটাই খবর। মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চলা এই শুনানিতে বিচারপতি বোবদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছে, "কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে আমরা স্টেটাস রিপোর্ট পর্যালোচনা করতে চাই।" এদিনের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেছেন, রাস্তায় নামা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢল আটকানো সরকারের এখন প্রধান উদ্দেশ্য। যেভাবে ওরা পথে নেমেছে তাতে বাড়তে পারে সংক্রমণের মাত্রা। ওদের দুর্দশা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র-রাজ্য। সুরাহা দিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়ে অঙ্গরাজ্যের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব আন্দাজ করে আত্মহত্যা করলেন জার্মানির অর্থমন্ত্রী
মঙ্গলবার এই মামলার ফের শুনানি হবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মস্থলে আটকে রাখতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই মর্মে উদ্যোগ নিতে আবেদন করা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে।