Read in English
This Article is From Apr 19, 2020

ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,০০০ পেরলো, মৃত ৫১৯: ১০টি তথ্য

Coronavirus Cases, India: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আরোগ্যলাভের হার ইঙ্গিত দিচ্ছে, সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বাড়ছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by ,

Coronavirus Cases in India: রবিবার দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,০০০ ছাড়াল

Highlights

  • দেশে ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১,৩৩৪ জন
  • গত ১৪ দিনে ১২টি রাজ্যের ২২ জেলায় নতুন করে আক্রান্তের খবর আসেনি
  • মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৬০০ জন
ভারত করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,১১৬, তারমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৫১৯, রবিবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩২৪ এবং মৃত্যু ৩১ জনের। শনিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ২০ এপ্রিলের পর, করোনামুক্ত এলাকাগুলিতে অর্থনৈতিক কাজকর্ম সচল রাখার প্রক্রিয়া আলোচনা করতে মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন, ২০ এপ্রিলের পর করোনা মুক্ত এলাকাগুলিকে অর্থনৈতিক কাজকর্ম চালু রাখার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনই, দিল্লিতে নর্থ ব্লকে করোনা ভাইরাসের ওয়াররুমের কাজকর্ম পর্যালোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নেন তিনি।

এখানে রইল ১০'টি তথ্য:

  1. কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আরোগ্যলাভের হার ইঙ্গিত দিচ্ছে, সুস্থ  হয়ে ওঠার সংখ্যা বাড়ছে। এদিন সকাল পর্যন্ত সেই হার ১৪.৯ শতাংশ, শনিবার সুস্থ হয়ে ওঠার হার ছিল ১৩.৮৫ শতাংশ,  শুক্রবার ছিল ১৩.০৬ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ছিল ১২.০২, বুধবার ১১.৪১, মঙ্গলবার ৯.৯৯। এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে দেশের ২,৩০২ জনকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে।
     

  2. সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক লাভ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ১২টি রাজ্যের মোট ২২টি নতুন জেলায় গত ১৪দিনে নতুন করে কোনও করোনা আক্রান্তের খবর আসেনি।
     

  3. শনিবার সরকারের তরফে জানানো হয়, দেশজুড়ে মোট ৪,০০০ জন করোনা আক্রান্তের সঙ্গে গতমাসে দক্ষিণ দিল্লিতে নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের জমায়েতের যোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থমন্ত্রকের তরফে লাভ আগরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, “১৪,৩৭৮ জন করোনা ভাইরাসের মধ্যে, শনিবার পর্যন্ত ২৯.৮ শতাংশ অর্থাৎ ৪,২৯১ জনের সঙ্গে নিজামুদ্দিনের যোগ রয়েছে”।
     

  4. দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৬০০ জন, যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। শনিবার পর্যন্ত মুম্বইয়ের ধারাভিতে সংক্রমণের সংখ্যা ১১৭ জন।
     

  5. দেশে করোনা আক্রান্তের মধ্যে অন্যতম স্থানে রয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। প্রতিবেশি এলাকায় ২৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া উদাহরণ তুলে ধরে সাধারণ  মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে না চলার বিধি সম্পর্কে জানান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জাহাঙ্গিরপুরিতে একই পরিবারের ২৬ জন করোনা আক্রান্ত। তাঁরা একে অপরের  পরেই থাকতেন, এছাড়াও নিয়ন্ত্রণের পরেও, তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। আমরা আপনাদের নিয়ে চিন্তিত”।
     

  6. Advertisement
  7. উত্তরপ্রদেশের গৌতমবু্দ্ধ নগর সেরাজ্যের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত, একমাসে দুবার স্বাস্থ্য আধিকারিকের পদে বদলি করা হয়েছে। এই জেলাতেই রয়েছে নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা।
     

  8. জম্মু ও কাশ্মীরের দুই জেলায় ৩০০ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত এবং ৫ জননের মৃত্যু হয়েছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। রাজৌরি এবং কিস্তওয়ারে চারজন সুস্থ হওয়ার পর, আর কোনও সংক্রমিত রোগীর খবর পাওয়া যায়নি গত ১০ দিনে।
     

  9. করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা অব্যাহত, এবং যাঁরা জরুরি পরিষেবায় যুক্ত, তাঁদেরও। সর্বশেষ ঘটনায়, শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে দেওয়াস জেলায় একদন স্বা্স্থকর্মীর ওপর হামলা চালায় জনতা, প্রতিবেশি এলাকায় রাস্তা পরিষ্কার করতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। বিহারে, বৃহস্পতিবার ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার চারটি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা যাতে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তারজন্য সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
     

  10. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হতে পারে, তারপর সংখ্যাটা কমতে থাকবে।
     

  11. বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের বলি ১.৫ লক্ষ মানুষ, ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে এই ভাইরাসের উৎপত্তি ঘটে, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষেরও বেশি। এমনিতেই করোনার আগে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে মন্দা ছিল, এবং ২০২০ তে তা “বড় মন্দা”য় পরিণত হয়েছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়া।

Advertisement