করোনা মহামারীতে তৃতীয় সংক্রমিত দেশ ভারত।
নয়াদিল্লি: সাড়ে তিন মিলিয়ন ছাপিয়ে গেলো দেশের করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বাধিক ৭৮,৭৬১ জন সংক্রমিত হয়েছে। যা এযাবৎকাল রেকর্ড দৈনিক সংক্রমণ বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এদিকে, সংক্রমণের বিচারে বিশ্বে তিন নম্বরে ভারত। প্রথম দুয়ে ইউএস ও ব্রাজিল। গত ২৬ দিন ধরে দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণের শীর্ষে ভারত। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৯৫০ জন মৃত। এই সংখ্যা ধরে দেশে মৃত বেড়ে ৬৩,৪৯৮ জন। এই পরিবেশে আনলক ৪ দেশব্যাপী লাগু করতে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী চালু করা হবে মেট্রো পরিষেবা। তবে এখনই চলবে না শহরতলির ট্রেন। পাশাপাশি কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে লকডাউনে নিতে হবে কেন্দ্রের অনুমতি। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে সর্বাধিক একশো জনের জমায়েতে মিটিং-মিছিলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই জমায়েতে আয়োজিত করা যেতে পারে ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান। তবে, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধই থাকবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৫ মাসে মোট করোনা আক্রান্তের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং এক-চতুর্থাংশেরও কম রোগী সক্রিয় অবস্থায় রয়েছেন। "কেন্দ্রের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং লাগাতার করোনা পরীক্ষা পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার ফলেই করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়েছে এবং প্রাণহানি কমানো গেছে". টুইটে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাাশাপাশি বৃহস্পতিবার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, জিএসটির নীতি নির্ধারক বৈঠকের পর বলেন যে, করোনা ভাইরাস যেভাবে মহামারী রূপে দেখা দেওয়ার পিছনে আছে "ঈশ্বরের কীর্তিকলাপ" এবং এই অপ্রত্যাশিত ধাক্কার কারণে জিএসটি আদায়ের বিষয়টি প্রভাবিত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম নজরে আসে গত বছরের ডিসেম্বরে। চিন থেকেই এই রোগ সারা বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভয়ঙ্কর রোগটি সব মিলিয়ে ৮.৩১ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছে। এখনও পর্যন্ত ২.৪৪ কোটিরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকারের মতে, বৃহস্পতিবার আমেরিকায় করোনা মৃত্যুর সংখ্যা ১,৮০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।