This Article is From Apr 22, 2020

আমেরিকায় অভিবাসন বন্ধ করতে চলেছেন ট্রাম্প! ভারতীয় আইটি শিল্পে পড়তে চলেছে প্রভাব

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার পড়ুয়া পড়াশোনা করতে যান এবং চাকরি পেয়ে কাজ করেন, আবার অনেকেই রয়েছেন যারা ভারতীয় আইটি জায়ান্টদের থেকে অনসাইট প্রকল্পে আমেরিকায় যান।

আমেরিকায় অভিবাসন বন্ধ করতে চলেছেন ট্রাম্প! ভারতীয় আইটি শিল্পে পড়তে চলেছে প্রভাব

বিশ্বের আইটি পরিষেবায় ভারতের বড় অবদান রয়েছে

বেঙ্গালুরু:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের টুইট ঘিরে সারা বিশ্বের আইটি শিল্প এখন টালমাটাল। “অদৃশ্য শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং আমাদের গ্রেট আমেরিকান নাগরিকদের কাজ বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িকভাবে অভিবাসন স্থগিত করার জন্য একটি কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবো!” ডোনাল্ড ট্রাম্প পোস্ট করেছেন। আমেরিকানদের চাকরির বৃহত্তর চাপ থাকা সত্ত্বেও, এই দেশ অনেকের কাছেই বিশেষত আইটি শিল্পে এখনও অগ্রণী। সাধারণ সময়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক অভিবাসীদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। হাজার হাজার পড়ুয়া সেখানে পড়াশোনা করতে যান এবং চাকরি পেয়ে কাজ করেন, আবার অনেকেই রয়েছেন যারা ভারতীয় আইটি জায়ান্টদের থেকে অনসাইট প্রকল্পে আমেরিকায় যান।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে শিল্পমহলের কী প্রতিক্রিয়া? প্রতিক্রিয়া অবশ্য জোরালো নয় এখনও। লকডাউনের ছাড়ে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি এবং জৈবপ্রযুক্তি শিল্পকে বলা হয়েছিল যে অফিসের ৫০ শতাংশ কর্মীকে নিয়ে কাজ শুরু করা যেতে পারে। তবে কর্ণাটক এক তৃতীয়াংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করে এবং পরে তা আবার পরিবর্তন করে কেবল প্রয়োজনীয় কর্মীদের নিয়েই কাজ এগোতে থাকে।

শিল্প সংস্থা ন্যাসকম জানিয়েছে যে প্রোটোকল মেনে কাজ স্বাভাবিক করতে কয়েক মাস সময় লাগবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার জবাব দিতেও এই শিল্প সংস্থা এখনই প্রস্তুত নয়।

NASSCOM এক টুইট বার্তায় বলেছেন:

ইন্ডাস্ট্রি জায়ান্ট উইপ্রো এবং ইনফসিস অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

ভী টেকনোলজিসের সিইও চক্কো ভালিয়াপ্পা এনডিটিভিকে বলেন, “আমেরিকার এত এগিয়েছে কারণ বিশ্বব্যাপী সেরা প্রতিভাকে আকৃষ্ট করার অন্যতম চুম্বক হয়ে উঠেছে আমেরিকা। অভিবাসন নিষিদ্ধ করায় আমেরিকা সেই গৌরব হারাবে।”

বেঙ্গালুরুতে এক ভারতীয় ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহ সংস্থার কর্মী নেহা মিস্রি এনডিটিভিকে বলেন, “ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণই আতঙ্কজনক। অন্য অনেক দেশের থেকে আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ভাইরাস অভিবাসীদের থেকে আসছে না। আইটিতে এর বড় প্রভাব পড়তে চলেছে। আর বিশ্বের আইটি পরিষেবায় ভারতের বড় অবদান রয়েছে বলে আমি মনে করি। অদূর ভবিষ্যতে এই অবদান হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী আইটি ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে। এর বড় প্রভাব পড়বেই পরবর্তী কয়েক বছরে।"

প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনার অভাবের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের প্রভাব মারাত্মক হয়ে উঠেছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যু ও সংক্রমণের খবর মিলেছে এখানেই। ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে গত একমাসে ২২ মিলিয়ন আমেরিকান বেকারত্বের সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন।

.