এই সমস্ত অঞ্চল বা জোনে কোনও ব্যক্তি বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না, বলে জানিয়েছেন এক পদস্থ পুলিশ কর্তা।
হাইলাইটস
- কেরলের সাতটি অঞ্চলে হোম ডেলিভারি করেন পুলিশ আধিকারিকরা
- সাতটি অঞ্চলে প্রবেশ. প্রস্থান সিল করে দেওয়া হয়
- কাসারগোরে করোনার হাসপাতাল তৈরি করা হয়
কাসারগোর, কেরল: কেরলে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) আক্রান্তদের মধ্যে ৪৪ শতাংসই কাসারগোর (Kerala's Kasaragod) জেলার, দেশের চেয়ে তিনগুণ বেশি হারে সেখানে আরোগ্যলাভ করছেন আক্রান্তরা। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের অন্যতম হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত কেরল থেকে কোনও করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর মেলেনি, যেখানে দেশে বাড়ছে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। জরুরি সামগ্রি পাওয়ার জন্য কেরল পুলিশের তরফে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে সে রাজ্যের পুলিশ, যেটি শেয়ার করেছেন সুপারস্টার মোহনলাল। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ঘরে ঘরে অত্যাবশকীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।: কাসারগোরের সাতটি অঞ্চলে পুলিশ আধিকারিকরা হোম ডেলিভারি করেন, সেখান থেকেই করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
এই সাতটি জোন বা অঞ্চলকে আইসোলেশন করা হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রবেশ ও প্রস্থান। এই সমস্ত অঞ্চল বা জোনে কোনও ব্যক্তি বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না, বলে NDTV কে জানিয়েছেন এক পদস্থ পুলিশ কর্তা।
পথে পড়ে থাকা দুধের ধারায় কুকুরের সঙ্গে ভাগ বসাল অসহায় মানুষ, দেখুন মর্মান্তিক ভিডিও
চলতি মাসের গোড়ার দিকে, কাসারগোড়ে কয়েকদিনের মধ্যেই কোভিড ১৯ হাসপাতাল তৈরি করা হয়, এবং তিরুঅনন্তপুরম থেকে মেডিক্যাল টিম নিয়ে যাওয়া হয়।
৩০ জানুয়ারি দেশের মধ্যে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে, এখন পরিস্থিতির বদল হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক।
রাজ্য পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় শাখারে NDTV কে বলেন, “আমরা আমাদের কাজ কমিয়েছি। চলতি মাসের শেষের মধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত শূন্য করতে। করোনা ছড়ানো আটকাতে, লকডাউনে যাতে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোন, তারজন্য সবরকম চেষ্টা করেছে পুলিশ। আমরা ফল দেখতে পাচ্ছি”।
কাসারগোড়ের ১৬৬ জন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬১ জন। সূত্রের খবর, দু সপ্তাহ লকডাউন বাড়াতে চলেছে জেলা প্রশাসন।
জেলায় ৩,০০০ জন প্রাথমিক বা সরাসরি এবং দ্বিতীয় বা পরোক্ষভাবে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশন করা হয়েছে। জেলায় যাঁরা বাইরের দেশ থেকে এসেছেন, সেই এক হাজার জন এই তালিকার বাইরে রয়েছেন এবং তাঁদের ওপর কঠোরভাবে নজর রাখা হচ্ছে।
ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে জেলার সাতটি জোন বা অঞ্চলে। কোনওরকম এদিক ওদিক যাওয়া বা বাইরে বেরোনের দিকে নজর রাখছে পুলিশের টহলদারি দল এবং তাদের অ্যাপ।
বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করা হবে কেবল দরিদ্রদেরই, রায় সুপ্রিম কোর্টের
বিজয় শাখারে বলেন, “এই অ্যাপের মাধ্যমে আইলোশনে থাকা সমস্ত ব্যক্তিদের ওপর নজর রাখছি। আমরা কল রেকর্ড ব্যবহার করছি এবং আইনলঙ্ঘনের বিষয়টি ইন্টারনেট প্রটোকলের সাহায্য নজর রাখছি, যাতে পুরোপুরিভাবে লকডাউন মানা হয়। শুধুমাত্র জেলাতেই আমরা ১৪,০০০ মানুষের তথ্যের ওপর কাজ করছি”।
দুপুর ১২.৩০ নাগাদ কাসারগোরের গ্রামীণ এলাকাগুলি সিল করে দেওয়া হয়, পুলিশের নিয়ন্ত্রিত ড্রোনে লাগানো ক্যামেরার সাহায্যে একজন চিকিৎসককে ভিডিও করেন এক প্রবীণ ব্যক্তি।
আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের যাতে বাইরে বেরোতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে, চিকিৎসদের ফোন কলে রাখা হয়েছে অন্যান্য পরিষেবার মতোই। ২৩ মার্চ থেকে এইরকম ৯,০০০ টেলিমেডিসিন কলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫০ এর ঊর্দ্ধে ব্যক্তিদের জন্য এই সুবিধা রাখা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসে ২৪ ঘন্টায় বলি ৫১, এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ: ১০টি তথ্য
কাসারগোরের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক রামদাস এভি NDTV কে বলেন, “আমরা কাসারগোরে গোষ্ঠী স্তরের পরীক্ষা শুরু করেছি। যাঁদের করোনার মতো লক্ষণ রয়েছে, বিভিন্ন জোন বা অঞ্চল খেকে প্রায় এইরকম মানুষদের প্রায় ১০০টি নমুনা সংগ্রহ করেছি আমরা, তবে আমরা সংস্পর্শে আসার বিষয়টি আমাদের নয়। ১০০টি নমুনার ফলই নেগেটিভ এসেছে। এই মুহু্র্তে কোনও গোষ্ঠী স্ংক্রমণের প্রমাণ নেই”। জেলাজুড়ে প্রায় ২,০০০ এর ওপর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
শিশুদের করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কী করণীয়, জানতে হলে ক্লিক করুন:
ডঃ রামদাস জানান, দেশে আরোগ্যলাভের হার ১১.৪ শতাংশ, সেখানে কেরলে এই হার ৩৮ শতাংশ।