Coronavirus India Lockdown: মদের দোকানগুলো খোলার সঙ্গে সঙ্গেই বিশাল লাইন পড়ল সেখানে
হাইলাইটস
- সোমবার থেকেই দেশে দ্বিতীয় মেয়াদে বাড়ল লকডাউন
- তবে কিছু ক্ষেত্রে দোকানপাট খোলায় দেওয়া হয়েছে ছাড়, খোলা হয়েছে মদের দোকানও
- বিভিন্ন রাজ্যেই মদের দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েছে
নয়া দিল্লি:
করোনা সংক্রমণ (Coronavirus India) ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে গোটা দেশে লকডাউন চলছে। আজ অর্থাৎ ৪ মে থেকে সেই লকডাউনের মেয়াদ দ্বিতীয়বারের জন্যে বাড়ানো হল। আপাতত আরও দু'সপ্তাহ লকডাউনের (Coronavirus India Lockdown) মধ্যে দিয়েই যেতে হবে নাগরিকদের। তবে মদের দোকানগুলো (Liqour Shops Re-open) খোলার ঘোষণায় এর মধ্যেই কিছু মানুষের মুখে অবশ্য একটু হলেও হাসির রেখা দেখা দিয়েছে। সেই মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে টানা বন্ধ হয়ে থাকা মদের আউটলেটগুলি ফের খোলা যাবে, জানিয়ে দেয় কেন্দ্র। এরপরেই দেখা যায়, সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন মদের দোকানের বাইরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন মানুষজন। গত সপ্তাহে যখন আরও দু'সপ্তাহের জন্যে লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, তখন অবশ্য তারা স্পষ্ট করে একথাও বলে দিয়েছে যে, কোনওভাবেই কনটেইনমেন্ট এলাকাগুলোতে মদের দোকান খোলা যাবে না। তবে রাজ্যের অন্যান্য অংশে এই দোকানগুলি খোলা গেলেও এগুলো যাতে জনবসতি এলাকা বা বাজারের মধ্যে না হয় তা দেখতে হবে। পাশাপাশি সরকার জানিয়েছে, যাঁরা মদ কিনতে আসবেন সেই ক্রেতাদের মধ্যে নূন্যতম ছয় ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে এবং একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি ক্রেতাকে কেনাকাটা করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
দেখে নিন ১০ টি জরুরি তথ্য:
শুধুমাত্র কনটেইনমেন্ট জোন ছাড়া তার বাইরে থাকা ১০০ টিরও বেশি মদের দোকানগুলিকে পুনরায় খোলার অনুমতি দেওয়ার পরেই দিল্লিতে যেন মদ কেনার ধূম লেগেছে। শহরের বহু এলাকার মদের দোকানগুলির বাইরে প্রচুর ভিড় দেখা যায়। চান্দের নগর, করোল বাগ, নারেলা -এরকম বহু এলাকায় পুলিশ গিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়ে অনুরোধ করেছে। তারপরেও সেই নিয়ম লঙ্ঘন করায় অনেক দোকানই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। কাশ্মিরি গেট এবং নারেলার মতো অঞ্চলগুলোতে তো রীতিমতো মদ কেনার জন্যে ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা গেছে মানুষকে। অথচ এই দিল্লিতেই ভয়ঙ্করভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। সেখানে ৯০ টিরও বেশি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে। ৪ হাজার জনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত ওই মারণ রোগে। এখনও পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৪ জন।
তবে দিল্লিতে মদের দোকান খোলা হলেও তারই প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানাতে রাজ্যের আবগারি দফতরের তরফ থেকে কোনও নতুন নির্দেশ না পাওয়া যাওয়ায় সেখানকার মদের দোকানগুলি বন্ধ রয়েছে। হরিয়ানার মতো পঞ্জাব সরকারও মদ বিক্রি করার অনুমতি দেয়নি।
দেশের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য মহারাষ্ট্রে অবশ্য কড়া বিধিনিষেধ মেনে দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেখানকার প্রতিটি লেনে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন দ্রব্য বিক্রির জন্য কেবল পাঁচটি দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। "এমনকি রেড জোনের মধ্যে থাকা যে জেলাগুলিতে গত এক মাস ধরে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়ায়নি সেই এলাকাগুলোতেও খোলা যাবে স্টেশনারি দোকান", জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিব ভূষণ গাগরানি।
উত্তরপ্রদেশে বলা হয়েছে সকাল ১০ টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত মদের দোকান সহ অন্যান্য দোকানগুলো খোলা যাবে। তবে ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। লখনউতে দেখা গেছে মদের দোকানগুলোর বাইরে দীর্ঘ লাইন। তবে আবগারি দফতরের আধিকারিকরা সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা দেখতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
কিন্তু সোমবার থেকে নয়, মধ্যপ্রদেশে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই ইন্দোর, ভোপাল, উজ্জয়েনের মতো শহরগুলিতে ফের মদের দোকান খোলা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। করোনার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই রাজ্যও।
কর্নাটকে দেখা যায় মদের দোকান খোলার আগেই তার বাইরে প্রচুর ক্রেতার লাইন পড়ে। ওই রাজ্যে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মদের দোকান খোলা রাখা হবে। মদের দোকানগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে মদ কেনা-বেচায় ফের অনুমতি দিলেও সরকার জানিয়েছে যে, ওই রাজ্যে মদ কিনতে হলে ক্রেতাদের প্রোহিবিশন ট্যাক্স বা নিষিদ্ধ কর দিতে হবে। সেখান প্রায় ৩,৫০০ টি আউটলেট ফের খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পুদুচেরিতে অবশ্য এখনই মদের দোকানগুলো ফের খোলার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
অন্যান্য বহু রাজ্যের মতোই হিমাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থানেও মদের আউটলেটগুলি ফের খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ভারত জুড়ে, কোভিড -১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে, এখনও পর্যন্ত ওই রোগে মারা গেছেন ১,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ।
Post a comment