দেখে নিন এই সংক্রান্ত ১০ টি তথ্য:
এদিনের বৈঠকে প্রথমে বলতে গিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, "করোনাকে ঢাল করে রাজনীতি করছে কেন্দ্র। সর্বদা বাংলার সমালোচনা করছে। এখন রাজনীতির সময় নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙবেন না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পরামর্শ, "ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া উচিত। দিল্লির একমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি এলাকায় চলুক ব্যবসা-বানিজ্য।"
চলতি মাসে ট্রেন কিংবা প্লেনের মতো গণপরিবহণ চালু না করতে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। দেশে সংক্রমিত রাজ্যের তালিকায় প্রথম তিনে আছে দক্ষিণের এই রাজ্য।
এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি জানিয়েছেন, কৃষি বাজার, গণপরিবহণ, বাজার, দোকানপাট খুলে দেওয়া হক। ছন্দ ফিরলেই স্বাভাবিক হবে আর্থিক স্থিতি। তবে নিয়ন্ত্রিত গতিবিধি লাগু করা হোক। পরামর্শ জগন্মোহনের।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন বলেছেন, "রেল, সড়ক আর আকাশ পথে যোগাযোগ চালু করা হোক। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত হারে চলুক এই গণপরিবহণ। লাগু থাকুক স্বাস্থ্যবিধিও।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেছেন, "১৭ মে'র পর রাজ্যের হাতে ছাড়া হোক লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত। তাঁরাই ঠিক করবে রেড, অরেঞ্জ আর গ্রিন জোনের কোথায় লকডাউন লাগু থাকবে।"
এদিনের বৈঠকে বেশিরভাগ রাজ্য পরিযায়ীদের দুর্দশার প্রসঙ্গ বৈঠকে তুলে ধরেছে।
তাদের দাবি, "পরিযায়ী নাগরি, শ্রমিক আর পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বাড়ির ফেরার যে উদ্যোগ তাতে ভাঁটা পড়েনি। তাই যেভাবে খুশি, নিজের মতো করে অনেকেই বাড়ি ফিরছে।
এই পরিযায়ীদের বাঁচাতে আর্থিক সাহায্যের পথে হাঁটুক কেন্দ্র। এমন পরামর্শ দিয়েছে একাধিক রাজ্য।
দেশে এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার হার ৩১%। এই পরিসংখ্যান উদ্বেগ কমিয়েছে কেন্দ্রের। পাশাপাশি সোমবার বিকেল পর্যন্ত রাজ্যে সংক্রমিত ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার ২০০ জন সংক্রমিত হয়েছেন।