Coronavirus: পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ।
হাইলাইটস
- তাদের কর্মীদের মারধর করছে পুলিশ, ই-কমার্স সংস্থাগুলির অভিযোগ
- হস্তক্ষেপের জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানাল সংস্থাগুলি
- সহায়তার আশ্বাস দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
নয়াদিল্লি: লকডাউনের (Lockdown) সময় ই-কমার্স সংস্থাগুলির (E-commerce Companies ) অভিযোগ, ওষুধ, খাবার, মুদি সামগ্রী ডেলিভারি করতে গিয়ে হেনস্থা ও মারধরের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের কর্মীদের। এই ধরনের অনভিপ্রেত সমস্যায় পড়ার পর হস্তক্ষেপের জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছে সংস্থাগুলি। ‘বিগ বাস্কেট', ‘ফ্রেশ মেনু' ও ‘পোরটি মেডিক্যাল'-এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের প্রোমোটার কে গণেশ জানাচ্ছেন, গত কয়েক দিন ধরে পুলিশ কর্মী তাঁদের ডেলিভারি এজেন্টদের হেনস্থা করছেন, নিগ্রহ করছেন এমনকী একটি ক্ষেত্রে তো গ্রেফতার পর্যন্ত করেছেন। NDTV-কে তিনি বলেন, সরকার একেবারে সঠিক পদক্ষেপ করেছে ঠিকই। কিন্তু মুদি, খাবার, ওষুধ ইত্যাদি অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে অনলাইন ডেলিভারি সংস্থাগুলিকে, তা নীচের স্তরে পৌঁছয়নি।
নেই মাথা গোঁজার ঠাই! লকডাউনে গ্রামে ফিরতে ৮০ কিমি হাঁটা লাগালেন এক শ্রমিক
পুলিশের প্রতি তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওরা অত্যন্ত নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে। লোকজনকে মারধরও করছে। কেরলে আমাদের এক স্বাস্থ্য কর্মী এক রোগীর সেবার জন্য যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।''
তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই মানুষগুলি নিজেদের জীবন বিপন্ন করছেন, এঁদের মারধর করবেন না। যদি অন্যরা পালিয়ে যায়, তাঁদের সহকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে বলে তাহলে আমরা কিছু করতে পারব না। যাঁরা প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও পরিষেবা দিতে যাচ্ছেন তাঁদের মারবেন না।''
করোনার মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠক
একই সুর অনলাইন মুদিমাল সরবরাহকারী ‘গ্রফার্স' ও মাংস সরবরাহকারী ‘ফ্রেশ টু হোম'-এরও। তাদেরও একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাগুলি।
এর ফলে বহু সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। ‘মিল্ক বাস্কেট' জানাচ্ছে তারা ১৫,০০০ লিটার দুধ ও ১০,০০০ কেজি সবজি ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছে।
দিল্লির পিৎজা ডেলিভারি চেইন ‘বেকিং ব্যাড'-এর প্রতিষ্ঠাতা অর্জুন জওসওয়াল তাঁদের টু-হুইলারে করে ডেলিভারি করতে যাওয়া কর্মীদেরও পুলিশের পাল্লায় পড়তে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দক্ষিণ দিল্লির কৈলাশ অঞ্চলে বাইক আরোহী ডেলিভারি কর্মীদের লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। নয়ডায় তো প্রমাণ দেখাতে ফোন বার করা হলে সেটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একেবারেই অরাজক অবস্থা।''
এই ধরনের কথা জানার পর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়, তারা বিষয়টি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে চলেছে এবং ডেলিভারিতে যেন কোনও সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘‘আমরা সবজি-বিক্রেতাদের ই-পাস দিয়ে দেব। অন্যদেরও দেব, যারা লকডাউনের সময় পরিষেবা দিচ্ছে।''
দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক এমএস রান্ডোয়া NDTV-কে জানিয়েছেন, তাঁরা অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন।
গুরগাঁও ও নয়ডার পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে তারা পুলিশ কর্মীদের জানিয়েছে ডেলিভারি কর্মীদের যেন বাধা না দেওয়া হয়।
লকডাউনের পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত ক্রেতারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহতে কোনও বাধা পড়বে না।