রবিবার টুইট করে আবারও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে করোনা মোকাবিলার ব্যর্থতার অভিযোগ তুললেন পি চিদাম্বরম।
হাইলাইটস
- একাধিক টুইটে পি চিদাম্বরম ক্ষোভ উগরে দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি
- করোনা মোকাবিলায় গরিবের সম্মান রক্ষায় সরকার ব্যর্থ বলে দাবি তাঁর
- হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন লকডাউনের ফল
নয়াদিল্লি: লকডাউনের (Lockdown) সময় গরিবদের সম্মান রক্ষায় ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউনের ঘোষণার পর বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। খাবার না পেয়ে সহ্য করেছেন খিদের জ্বালা। এমনই অভিযোগ করলেন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। একাধিক টুইটে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম (P Chidambaram) জানিয়েছেন, বহু মানুষের হাতে টাকা নেই। তাঁরা বিনামূল্যে বিতড়িত খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সরকারকে আর্জি জানিয়েছেন, গরিব মানুষদের অর্থ সরবরাহ ও খাদ্যের জোগান দেওয়ার জন্য। তাঁর মতে, একমাত্র কোনও হৃদয়হীন সরকারই এই সময় নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে। রবিবার সকালে টুইট করে চিদাম্বরম লেখেন, ‘‘নানা প্রমাণ মিলেচে যে, বহু মানুষের হাতে টাকা নেই। তাঁরা বাধ্যত বিনামূল্যে খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। একমাত্র কোনও হৃদয়হীন সরকারই এভাবে নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে।''
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ট্যাগ করে দু'টি ‘অর্থনৈতিক ও নীতিগত' প্রশ্ন করেন চিদাম্বরম। প্রথম প্রশ্নে দরিদ্র পরিবারগুলিকে টাকা সরবরাহ করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে অভিযোগ করেন চিদাম্বরম। দ্বিতীয় প্রশ্ন তিনি তোলেন সরকারের খাদ্যশস্য সরবরাহ নিয়ে।
রেল ও বিমান পরিষেবা ৩ মে-র পরই শুরু হচ্ছে না, জানাচ্ছে সূত্র
তিনি টুইট করেন, ‘‘কেন সরকার ওঁদের খিদের হাত থেকে বাঁচাতে পারল না এবং সম্মান রক্ষা করতে পারল না প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে অর্থের জোগান দিয়ে? কেন সরকার বিনামূল্যে ৭.৭ কোটি টন খাদ্যশস্যের একটা ছোট অংশ বিনামূল্যে সরবরাহ করতে পারল না সেই সব পরিবারকে, যাদের ওই শস্যের একান্ত দরকার ছিল নিজেদের গ্রাসাচ্ছেদনের জন্য?''
দেশে করোনা আক্রান্ত ছাড়াল ১৫,০০০, এখনও পর্যন্ত মৃত ৫০৭
প্রসঙ্গত, ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পরে চিদাম্বরম একটি টুইটে লিখেছিলেন, ‘‘কাঁদো আমার প্রিয় দেশ।'' সরকারের করোনা মোকাবিলার পদক্ষেপকে নিয়ে এভাবেই বারবার কড়া সমালোচনায় মুখর হয়েছেন পি চিদাম্বরম।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরবিআইয়ের প্রাক্তন প্রধান রঘুরাম রাজন, নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতামত না শোনার জন্য সরকারকে দায়ী করেন তিনি।
হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন করোনা সংক্রমণের ফলে।