Read in English
This Article is From May 17, 2020

বন্ধুর কোলে মরণাপন্ন পরিযায়ী শ্রমিক! জানুন হৃদয় বিদারক ছবির পিছনের করুণ কাহিনি

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইয়াকুব পথের ধারে বন্ধু অমৃতকে কোলে নিয়ে বসে আছেন। সকলের কাছে সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু কেউ শুনছেন না।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by
ভোপাল:

পথের পাশে বন্ধুর কোলে পড়ে রয়েছেন এক অসুস্থ যুবক। অসহায় বন্ধু সাহায্যের জন্য আর্জি জানাচ্ছেন আশপাশে। কিন্তু কেউ শুনছেন না। এমনই এক ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায় রাস্তার ধারে দেখা গিয়েছে এই হৃদয় বিদারক দৃশ্যটি। ওই যুবক ও তাঁর বন্ধু দু'জনেই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা দীর্ঘ পথ পেরিয়ে উত্তরপ্রদেশে পৌঁছতে চেয়েছিলেন। দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থার ছবি আরও একবার প্রকট হয়ে উঠেছে এই ঘটনায়। প্রসঙ্গত, তাপপ্রবাহের আঘাতে শেষ পর্যন্ত এক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই অসুস্থ পরিযায়ী শ্রমিকের।

নিহত শ্রমিকের নাম অমৃত। তিনি সুরাতে এক বস্ত্র নির্মাণ কারখানায় কাজ করতেন। কাজ হারিয়ে গুজরাত থেকে উত্তরপ্রদেশে ফিরতে এক ট্রাকে উঠেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের এক দলের সঙ্গে। অমৃতের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বস্তিতে। ইন্দোরগামী ওই ট্রাকের পিছনে দাঁড়ানোর জায়গার জন্য ৪,০০০ টাকা নেওয়া হয় তাঁর থেকে। কিন্তু পথের মাঝেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শিবপুরীতে তাঁকে ট্রাক থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। বাকিরা কেউই তাঁর সঙ্গে থাকেননি। কেবল মাত্র তাঁর বন্ধু ইয়াকুব তাঁর সঙ্গে ট্রাক থেকে নেমে আসেন।

দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৯০,০০০! একদিনে সর্বাধিক সংক্রমণের নয়া রেকর্ড: ১০ তথ্য

Advertisement

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইয়াকুব পথের ধারে বন্ধু অমৃতকে কোলে নিয়ে বসে আছেন। সকলের কাছে সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু কেউ শুনছেন না। এক স্থানীয় বাসিন্দা এমন মর্মস্পর্শী দৃশ্যের ছবি তুলে রাখেন। 
শিবপুরীর এক চিকিৎসক পিকে খাড়ে জানাচ্ছেন, ‘‘অমৃতের প্রচণ্ড জ্বর ছিল। সেই সঙ্গে বমি। তাপপ্রবাহের চোটে এই ধরনের সমস্যা হয়। তবে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল এলে বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার হবে।''

ইয়াকুবকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এক জেলা হাসপাতালে। তাঁর পরীক্ষার ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি।
লকডাউনের সময়ে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। রাতারাতি রোজগার, বাসস্থান হারিয়ে ফেলার পর দীর্ঘ পথ পেরিয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে চেষ্টা করে করেন তাঁরা।

Advertisement

বাড়ি ফেরার পথে পরিযায়ী শ্রমিকদের যেন খাদ্য, জল ইত্যাদি সরবরাহ করে সরকার, এই বিষয়ে জমা পড়া পিটিশনকে শুক্রবার নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেয়, আদালতের পক্ষে এটা পর্যবেক্ষণে রাখা অসম্ভব যে কে হাঁটছে, কে হাঁটছে না।

শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, ‘‘রাজ্য সিদ্ধান্ত নিক। আদালত কেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে?''

Advertisement