সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা মাথায় রেখে দুই পরিবারের তরফে পাঁচজন করে বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।
কানপুর: মুখে রয়েছে ফেস শিল্ড। রয়েছে মাস্কও (Mask)। এই অবস্থাতেই পরিণয় সারলেন এক দম্পতি। রবিবার কানপুরের এক গুরুদ্বারে সম্পন্ন হল তাঁদের বিয়ে (Wedding)। এক হল চার হাত। এই লকডাউনের (Lockdown) সময়ে জীবনের নয়া ইনিংস শুরু করলেন তাঁরা। বর গর্বিত নারং জানাচ্ছেন, ‘‘যেহেতু বিয়ের দিন আগে থেকেই ঠিক ছিল, তাই আমরা দ্বারস্থ হয়েছিলাম জেলাশাসক ব্রহ্মদেব রাম তিওয়ারি ও পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট আনন্দ দেব তিওয়ারির। উদ্দেশ্য বিয়েটা যাতে সময়মতোই করা যায়।''
তিনি আরও জানাচ্ছেন, ‘‘বিয়ের আগে সব কিছু স্যানিটাইজ করা হয়েছিল। এমনকী বিয়ের মালাও। সকলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। পাশাপাশি মাস্ক ও ফেস শিল্ডও পরেছিলেন তাঁরা।''
১,০০০ কিমি দূরে বাড়ি ফিরতে সাইকেলে যাত্রা, পথের ধারে খাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় মৃত পরিযায়ী শ্রমিক
গর্বিত সাফ জানাচ্ছেন, এই দুর্মূল্যের বাজারে এমন ভাবে কম খরচে বিয়েটা সেরে ফেলে তিনি দারুণ খুশি।
কনে অদিতি জানাচ্ছেন, ‘‘কোনওদিন ভাবিনি আমার বিয়ে হবে কোনও এক লকডাউনের সময়ে। ব্যাপারটা ভালোই।''
লকডাউন অমান্য করে গাড়িতে মেরিন ড্রাইভ! বন্ধুর সঙ্গে গ্রেফতার পুনম পাণ্ডে
এদিকে কনের বোন রিচা জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন কড়া ভাবে মানা হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠানে। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা মাথায় রেখে দুই পরিবারের তরফে পাঁচজন করে বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিয়ের আসরে।''
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫০ জনের উপস্থিত থাকতে পারবেন না। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে উপস্থিত সবাইকে। পরতে হবে মাস্ক। গর্বিত-অদিতির বিয়েতে সমস্ত নিয়মই যথাযথ ভাবে পালন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের পরিবারের।