গত ২৫ মে চেন্নাই থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে মণিপুরে ফেরেন ওই তরুণী।
কাংপোকপি: ঠিক তিন মিনিট। এটুকু সময়ই বরাদ্দ ছিল ২২ বছরের অঞ্জলি মাংতের (Manipur Girl) জন্য। ইম্ফলের এক কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র (quarantine centre) থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল কাংপোকপি-তে। সেখান মঙ্গলবার রাতে মারা গিয়েছেন তাঁর বাবা। সম্ভাব্য করোনা সংক্রমিত (COVID Suspect) অঞ্জলিকে তিন মিনিটের জন্য দেখতে দেওয়া হয়েছিল বাবাকে। বাবাকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য এর বেশি সময় পাননি হতভাগ্য পিতৃহারা কন্যা। তাঁকে দেখা গিয়েছে বাবার কফিনের কাছে গিয়ে দাঁড়াতে। তাঁর কাছে তাঁর মা বা অন্য কোনও আত্মীয়ের যাওয়ার অনুমতি ছিল না। দূরে চিকিৎসকদের হাতে স্টপওয়াচ। তাঁরা ঘড়ি মিলিয়ে তিন মিনিটের সময়সীমা শেষ হতেই ডেকে নিলেন অঞ্জলিকে।
চলছে করোনার দাপাদাপি, দেশে একদিনে ওই রোগে আক্রান্ত ৯৮৫১ জন, মৃত ২৭৩
গত ২৫ মে চেন্নাই থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে মণিপুরে নিজের বাড়িতে ফেরেন অঞ্জলি। তাঁকে এরপরই পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে। যেহেতু ওই ট্রেনে তাঁর এক সহযাত্রীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তাই বাধ্যতামূলক ভাবে তাঁকে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়।
করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্যাফে থেকে অফিস, সব জায়গাতেই মানতে হবে এই নিয়ম
বাবার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরে বুধবার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পেয়ে পিপিই কিট পরিহিতা অঞ্জলি উপস্থিত হন বাবাকে শেষ দেখা দেখতে।
মণিপুরে আরও ১৩ জনের সংক্রমিত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২১। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে।