করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে দেশে ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন জারি করেছে ভারত
নয়াদিল্লি: শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫,২১৫! যা চিনের কোভিড-১৯ আক্তান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে। গত বছরের শেষদিকে চিনে করোনা ভাইরাস প্রথম থাবা বসায়। করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত এখন বিশ্বের একাদশ স্থানে রয়েছে।
তবে ভারতের মৃত্যুর হার এখনও চিনের ৫.৫ শতাংশের তুলনায় ৩.২ শতাংশ, যা উল্লেখযোগ্যভাবেই বেশ ভালো। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভারতে ২৭,০০০ এরও বেশি লোক সুস্থ হয়েছেন এই রোগকে হারিয়ে।
বিশ্বজুড়ে, ৪৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই কেবল এই আক্রান্তের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ঘটনার রিপোর্ট মিলেছে। এটি এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। মারাত্মক এই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং স্পেন দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে। প্রতিটি স্থানেই দুই লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত।
চিনের শহর উহান, অর্থাৎ মারাত্মক এই ভাইরাসের কেন্দ্রস্থনে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার কিছু ঘটনা প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও, এই মুহূর্তে সেদেশে ১০০ জনেরও কম মানুষ কোভিড-১৯-এর চিকিত্সাধীন। COVID-19 এর কারণে চিনে ৪,৬৩৩ জন মারা গেছেন, তবে সেরে উঠেছেন ৭৮,০০০ এরও বেশি মানুষ।
চিন ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ যখন নিজস্ব অর্থনীতি ফের চালু করতে শুরু করেছে, তখনই ভাইরাসের সম্ভাব্য পুনরুত্থান সম্পর্কে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার ভারতে, কাশ্মীর থেকে শুরু করে কেরল এবং কর্ণাটক থেকে শুরু করে বিহার পর্যন্ত মারাত্মক এই ভাইরাসের আরও সংক্রমণের খবর মিলেছে। অন্য দিকে সোমবার থেকে শুরু হতে চলা লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে বিধিনিষেধ আরও বেশি শিথিল করার কথা বলা হয়েছে।
এদিন সকাল ৮ টায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায় যে ভারতজুড়ে কোভিড-১৯ এর কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৬৪৯ হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৮১,৯৭০, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০০ জন এবং নয়া আক্রান্তের সংখ্যে ৩,৯৬৭।
জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার ও কর্ণাটক ইতিবাচক পরীক্ষিত লোকের সংখ্যা অনুসারে এক হাজারের চিহ্নকে লঙ্ঘন করেছে, যখন কেরালা, গোয়া এবং মণিপুরের মতো জায়গাগুলিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল যে কয়েকটিকে বেশিরভাগ ভাইরাস-মুক্ত হিসাবে দেখা হচ্ছে দিন আগে
সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য মহারাষ্ট্রে ১,৫৭৬ টি নতুন আক্রান্তের ঘটনা মিলেছে যাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ২৯,১০০, যার মধ্যে ১,০৬৮ জন মারা গেছেন। তামিলনাড়ু ৪৩৪ টি নতুন আক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০,০০০ অতিক্রম করেছে, এবং গুজরাটে আরও ৩৪০ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ, যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯,৯৩২।