This Article is From Mar 23, 2020

দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেতে প্রয়োজন কার্ফু পাস

সরকারের তরফে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই ব্যক্তিগত গাড়িতে ভ্রমণ করতে পারবেন

দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেতে প্রয়োজন কার্ফু পাস

Coronavirus outbreak: মানুষের চলাফেরার ওপর কড়াকড়ি করল দিল্লি

নয়াদিল্লি:

দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলাফেরা এবং যাতায়াত করতে হলে নিতে হবে দিল্লি পুলিশের জারি করা কার্ফু পাস (Curfew Passes), লকডাউনের নিয়মভঙ্গ নিয়ে সরকারের উদ্বেগের কারণে এমনই জানিয়ে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) । দিল্লিতে করোনা ভাইরাসের সংখ্যা ২৯, গণপরিবহন থেকে শুরু করে দোকানপাট বন্ধ রাখা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রেখে শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জরুরি পরিষেবা চালু রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) । সরকারের তরফে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই ব্যক্তিগত গাড়িতে ভ্রমণ করতে পারবেন। দিল্লি পুলিশ আরও জানিয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জন্যই শুধুমাত্র এই পাস প্রয়োজন। নিজেদেদর পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ২৫ শতাংশ বাস রাস্তায় চলাফেরা করবে। পরে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। এদিন সন্ধ্যায়, দিল্লি পুলিশ জানায়, “জরুরি সামগ্রি ও পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চলাফেরার জন্য, দিল্লি পুলিশের জেলা সদর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাস নিতে হবে”।

দিল্লির কর্মীদের যাতায়াতের জন্য নিকটস্থ দিল্লি পুলিশের জেলা সদর দফতরে গিয়ে কার্ফু পাস নিতে পারেন এনসিআরের দফতরগুলি।

১৪৪ ধারায় বড় জমায়েতে জারি করা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

২০টি রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লকডাউন জারি করা হয়েছে, তবে অনেকে একে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না বলে জানিয়েছে সরকার। এর আগে এদিন, রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র জানায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

হিন্দিতে করা ট্যুইটে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “অনেক মানুষই লকডাউনকে গুরু্তব দিচ্ছে  না। দয়া করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন, পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন এবং নির্দেশিকা মানুন। রাজ্য সরকারগুলিকে আমার অনুরোধ, নিয়ম ও আইন পালন সুনিশ্চিত করুন”।

সোমবার দেশজুড়ে ৩৭টি নতুন করোনার ঘটনার খবর মিলেছে, ফলে দেশে মোট সংখ্যা বেড়ে হল ৪১৫। তারমধ্যে ৪১ জন বিদেশি নাগরিক, এবং ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে গুজরাত, বিহার., কর্নাটক, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে।

.