This Article is From Apr 21, 2020

স্যানিটাইজার, জ্বালানি তৈরিতে উদ্বৃত্ত চালের ব্যবহার নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ খণ্ডাল সরকার

করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় লকডাউনের ফলে বহু মানুষ অনাহারে পড়েছেন, ফলে সেই পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ বিতর্কিত

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে ২৫ মার্চ দেশে লকডাউন জারি করা হয়

নয়াদিল্লি:

সরকারি গুদামে থাকা চালকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং পেট্রোল তৈরি কাজে ব্যবহার করার সরকারের সিদ্ধান্তে প্রবল আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা, সোমবার এই সম্পর্কিত খবর প্রকাশ করেছিল NDTV. এদিন বিরোধীদের সেই আক্রমণ খারিজ করে দিল সরকার। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) মোকাবিলায় লকডাউনের ফলে বহু মানুষ অনাহারে পড়েছেন, ফলে সেই পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ বিতর্কিত। NDTV এর খবরটি হিন্দিতে ট্যুইট করে রাহুল গান্ধি লিখেছেন, “সর্বোপরি কখন ভারতের গরীব মানুষ জাগবেন? আপনারা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছেন, আর ওরা আপনার ভাগের চাল থেকে ধনীদের হাত ধোয়ার জন্য স্যানিটাইজার তৈরিতে ব্যস্ত”।

সরকারি সূত্রের তরফে বলা হয়েছে, “হাইজিন শুধুমাত্র তাদের জন্যই নয়, যাঁদের সামর্থ রয়েছে” পাশাপাশি আরও বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত করোনার বিরুদ্ধে ভারতের এখন যেরকম দামের প্রয়োজন, সেই পরিস্থিতি তৈরি করবে”।

উদ্বৃত্ত চাল থেকে ইথানল তৈরি করা আইনি পদ্ধতি, এবং প্রয়োজনের থেকে তিনগুণ বেশি খাদ্য রয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, যেখান থেকে সমালচনার জবাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, রাজ্যগুলিতে সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে রেশনের মাধ্যমে।

তাদের তরফে বলা হয়েছে, “হ্যান্ড স্যানিটাইজারও এই সময় প্রয়োজন। ইথানল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা দাম কমাবে এবং গরীব মানুষের হাতেও পৌঁছাবে”।

সূত্রের খবর, কৃষি বছরে, যখন নির্ধারিত বেশি সরবরাহ রয়েছে, সেখানে এই পদক্ষেপ করার বিধি রয়েছে।

জৈব জ্বালানি নিয়ে জাতীয় নীতি তুলে ধরে, সোমবার সরকারের তরফে বলা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর নেতৃ্ত্বে বৈঠকে এই সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, উদ্বৃত্ত খাদ্যশষ্যের সামান্য অংশকে ইথানল তৈরিতে সম্মতি দিয়েছে কমিটি।

গতমাসে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে, দেশের গরীব মানুষ সমস্যায় পড়েছেন এবং তাঁদের অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে বলে চর্চা তৈরি হয়েছে, যদিও ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার গুদাম ভর্তি।

.