Amitabh Bachchan: ২০০১ সালে অমিতাভ বচ্চনের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে এই মন্দিরে পুজো করা শুরু হয়
হাইলাইটস
- করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর ছেলে অভিষেক বচ্চন
- করোনা পজিটিভ ঐশ্বর্য ও আরাধ্যাও, তবে তাঁরা বাড়িতেই সেল্ফ কোয়ারান্টাইনে
- বচ্চন পরিবারের সুস্থতা কামনায় কলকাতার মন্দিরে চলছে মহাযজ্ঞ
কলকাতা: বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) ও তাঁর ছেলে-বৌমা-নাতনির করোনা আক্রান্তের খবরে বোধহয় মন খারাপ আসমুদ্র হিমাচলের। অমিতাভ-অভিষেক-ঐশ্বর্য-আরাধ্যার উপর থেকে কেটে যাক করোনার (Coronavirus) কোপ, এমন প্রার্থনা করে কলকাতার বচ্চন মন্দিরের পাশে শুরু হল "মহামৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ"। যজ্ঞের আয়োজনকারী ভক্তদের শুধু একটাই কামনা, সপরিবারে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন বিগ বি। কলকাতার বন্ডেল গেটে ক্যালকাটা কেমিক্যালের মার্গো ফ্যাক্টরির ঠিক পাশেই ২০০১ সালে গড়ে তোলা হয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের নামে একটি মন্দির, এখন সেই মন্দিরের পাশেই চলছে ওই মহাযজ্ঞ। অমিতাভ বচ্চন ফ্যানস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য সঞ্জয় পাটোদিয়া বলেন, "বচ্চন পরিবারের সমস্ত সদস্য সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমরা যজ্ঞ চালিয়ে যাব।"
করোনা আক্রান্ত অমিতাভ বচ্চনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
"আমরা প্রথমে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির 'শাহেনশা"-র মন্দিরেই যজ্ঞ করার পরিকল্পনা করেছিলাম, তবে প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং জল জমে যাওয়ার কারণে মন্দিরের পাশেই থাকা আমার ফ্ল্যাটে যজ্ঞ করছি", বলেন ওই বিগ ভক্ত।
অমিতাভ বচ্চন (৭৭) এবং তাঁর ছেলে তথা অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের (৪৪) শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় বর্তমানে তাঁরা মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১১ জুলাই নিজেই টুইট করে তাঁর অসুস্থতার কথা জানান বলিউডের বেতাজ বাদশা।
ভক্তদের ভালোবাসায় আপ্লুত অমিতাভ বচ্চন, ধন্যবাদ জানাতে টুইট করলেন
পরে পরীক্ষায় দেখা যায় অভিষেকের স্ত্রী, অভিনেতা ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (৪৬) এবং তাঁদের ৮ বছরের মেয়ে আরাধ্যারও কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। যদিও ঐশ্বর্য ও আরাধ্যা নিজেদের ঘরেই সেল্ফ কোয়ারান্টাইন হয়ে রয়েছেন এবং সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
২০০১ সালে কলকাতার বচ্চন অনুরাগীরা অনেকে মিলে তাঁর নামে একটি মন্দির তথা মিউজিয়াম গড়ে তোলেন। সেখানে পুরোদস্তুর অমিতাভের মূর্তি বানিয়ে তাঁর পুজো শুরু করেন 'শাহেনশা' ভক্তরা। এই মন্দিরে রয়েছে বিগ বি-র ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি পোশাক, জুতো এবং চশমা।
নিয়মিত ওই মন্দিরে পুজো হয়। এমনকী করোনা পরিস্থিতিতেও কখনও ওই মন্দিরের পুজোয় ছেদ পড়েনি। বলি-শাহেনশার ভক্তরা তাঁর মূর্তির চারপাশে আরতি করেন এবং প্রতিদিনই পাঠ করা হয় "অমিতাভ চালিশা"।