১০.৯৪ লক্ষেরও বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন
New Delhi:
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে নতুন রেকর্ড বৃদ্ধির খবর দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একদিনে ৫৭,১১৮ জন মানুষের দেহে ছড়াল এই সংক্রমণ। এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৬,৯৫,৯৮৮ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৭৬৪ জন মানুষ মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ভাইরাসজনিত কারণে মোট মৃত্যুর পরিমাণ এখন ৩৬,৫১১। ১৫ লক্ষ সংক্রমণ অতিক্রম করার মাত্র তিন দিন পরে দেশের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। ১০.৯৪ লক্ষেরও বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন, আজ সকালেই আরোগ্যলাভের হার দাঁড়িয়েছে ৬৪.৫২ শতাংশে। ভারত এ পর্যন্ত মোট ১,৯৩,৫৮,৬৫৯ টি নমুনা পরীক্ষা করেছে। ইতিবাচক হার অর্থাৎ করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীদের হার আজ সকালে ৮.৫৭ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাস ১০ টি আপডেট::
ভারতের ১৬ লক্ষ সংক্রমণ ঘটতে সময় লেগেছে ১৮৩ দিন। ৩০ জানুয়ারি কেরলে প্রথম সংক্রমণ হওয়ার পরে ১১০ দিনের মধ্যে দেশে এক লক্ষ সংক্রমণ ঘটে। ভারতে মোট সংক্রমণের ৬০ শতাংশের বেশি এবং মোট মৃত্যুর ৫০ শতাংশের বেশি জুলাই মাসেই ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা ও স্কেল মাথায় রেখে করোনাভাইরাস মহামারী রুখতে দলগত অনাক্রম্যতায় আস্থা রাখতে পারে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, কোভিড-১৯-কে পুরোপুরি নির্মূল করতে দেশকে ভ্যাকসিনের উপরই নির্ভর করতে হবে। ইজরায়েল ও ভারত চারটি বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তির সাহায্যে রোগীদের একটি বৃহত নমুনার উপর ট্রায়াল পরিচালনা করছে। ইজরায়েল সরকার জানিয়েছে যে প্রায় ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের ক্ষেত্রে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩.৬ শতাংশ, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১.৬ শতাংশের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি এবং ব্রাজিলের ২.৩ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের একদিনে রেকর্ড বৃদ্ধি! ১১,০০০ সংক্রমণ ঘটায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৪,১১,৭৯৮ হয়েছে। ভারতে সর্বাধিক সংখ্যক সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে, তারপরেই তামিলনাড়ু, সংখ্যাটা ২,৩৯,৯৭৮।
অন্ধ্রপ্রদেশ দিল্লিকে ছাড়িয়ে গিয়ে দেশের তৃতীয় সবচেয়ে করোনাভাইরাস-ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যে পরিণত হয়েছে। গত তিন দিনে এই রাজ্যে ৩০,০০০ এরও বেশি সংখ্যক সংক্রমণ ঘটায় আক্রান্তদের মোট সংখ্যা ১,৪০,৯৩৩ হয়েছে, যার মধ্যে ১,৪৩৯ জন মারা গেছেন।
দিল্লিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজাল কোভিড-১৯ লকডাউন সহজ করার তৃতীয় পর্বের অংশ হিসাবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার দুটি পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি সরকার শনিবার থেকে হোটেলগুলি আবার চালু করার অনুমতি দিয়েছে এবং ‘আনলক ৩' এর অংশ হিসাবে শহরের সাপ্তাহিক বাজারগুলি এক সপ্তাহের জন্য পরীক্ষামূল্ক ভাবে খোলার অনুমতি দিয়েছে। শুক্রবার দিল্লিতে ১,১৯৫ টি নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে, যাতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ছুঁল প্রায় ১.৩৫ লক্ষ। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৬৩।
২,৪৯৬ টি সংক্রমণ নিয়ে একদিনের রেকর্ড বৃদ্ধিতে পশ্চিমবঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুক্রবার ৭০,০০০-এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাতে মৃত্যুর সংখ্যা ১,৫৮১-এ দাঁড়িয়েছে বলেই রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। রাজধানী কলকাতায় এক দিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এবং ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, অসমে শুক্রবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৪০,০০০ এর সংখ্যা অতিক্রম করেছে, নয় দিনের এক শিশুসহ আরও ১,৮৬২ জন মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটেছে। রাজ্যে ভাইরাসজনিত কারণে এখনও পর্যন্ত ৯৮ জন মানুষ মারা গেছেন।
বুধবার, সরকার আনলক ৩-এর জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল, সারাদেশে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের এটি তৃতীয় ধাপ। রাত্রিকালীন কারফিউ পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে এবং জিম এবং যোগব্যায়াম কেন্দ্রগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত ডিসেম্বরে চিনে উদ্ভূত হওয়ার পর থেকে করোনাভাইরাস প্রায় ৬৭৫,০০০ মানুষকে হত্যা করেছে এবং কমপক্ষে ১৭.৩ মিলিয়ন মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। হু জানিয়েছে যে করোনাভাইরাস মহামারীটির প্রভাব কয়েক দশক ধরে অনুভূত হবে।
Post a comment