বহুদিন ধরে দেশ থেকে রীতিমতো পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রীতিমতো কাকুতি-মিনতি করতে দেখা গেল তাঁকে (Vijay Mallya)। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে লকডাউন চলছে, এই সময় সরকারের হাতেও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আর এই সঙ্কটের সময়কেই কাজে লাগাতে চান কিংফিশারের মালিক (Kingfisher Airlines)। এই কঠিন সময়ে তিনি তাঁর ১০০ শতাংশ ঋণ শোধ করে দিতে চান বলে ফের প্রস্তাব দিয়েছেন বিজয় মালিয়া। শুধু এর পরিবর্তে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া সমস্ত রকম আইনি প্রক্রিয়া থেকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ওই বিজনেস টাইকুন। করোনা পরবর্তী আর্থিক সংকটের সমাধানে মোদি সরকারের দেওয়া ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের জন্য অভিবাদন জানিয়ে বিজয় মালিয়া বলেন, দেশের অর্থনীতির এই কঠিন সময় তিনি তাঁর সমস্ত ঋণ শোধ করতে চান। কেন তাঁর আবেদন বারবার উপেক্ষা করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন করেন তিনি।
ভারতীয় সেনায় "মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া" প্রস্তাব, ৩ বছরের মেয়াদে সেনায় আমআদমি!
“করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার জন্যে সরকারকে ধন্যবাদ। এই সময়ে তারা যত ইচ্ছা টাকা ছাপাতে পারেন, কিন্তু আমার মত একজন ছোট্ট অনুদানকারীর ১০০ শতাংশ ঋণ শোধের বিষয়টি কেন উপেক্ষা করা হচ্ছে? আমার টাকা ফেরত নিন এবং আমাকে মুক্তি দিন”, টুইট করে ঠিক এভাবেই ঋণের টাকা মেটানোর প্রস্তাব দেন কিংফিশার এয়ারলাইন্সের সর্বেসর্বা বিজয় মালিয়া।
আনুমানিক ৯,০০০ কোটি টাকার জালিয়াতি এবং আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের মালিকের বিরুদ্ধে।
করোনাকে রুখতে কার্যকরী ভূমিকায় আয়ুর্বেদ? ৪ টি নতুন ওষুধের পরীক্ষা চলছে
গত এপ্রিলেই ভারতে তাঁর প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দেয় লন্ডন হাইকোর্ট। এরপর যদিও তিনি সেদেশের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। ঋণখেলাপি ফেরারদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বিজয় মালিয়ার নাম। ইতিমধ্যেই ঋণ শোধের বিষয়ে ট্রাইবুনাল জানিয়ে দিয়েছে যে বিজয় মালিয়াকে এখনও মোট ৬২০০ কোটি টাকা ফেরাতে হবে। যদিও কিংফিশার কর্তার দাবি, তিনি নাকি ৩০০০ কোটি টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন।