India COVID-19 Cases: দেশে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২০,০০০ পেরলো
নয়াদিল্লি: বুধবার দেশে করোনা ভাইরাস (Coronavirus Cases) আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪৮৬ জন, ফলে দেশে ভাইরাসের কবলে ২০,৪৭১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন, কেন্দ্রীয় ,স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৬৫২ জন। সোমবার ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাছিল ১,৫৪০ জন, সেই সময় আরোগ্যপ্রাপ্তদের সংখ্যাও বেড়েছিল বলে জানিয়েছিল সরকার। এদিন সকাল পর্যন্ত আরোগ্যপ্রাপ্তদের হার ১৯.৩৬ শতাংশ, একদিনে আরোগ্যপ্রাপ্তের সংখ্যা ৬১৮ জন। করোনা ভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে, সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২৫ মার্চ শুরু করে এবং পরে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর ফলে, ভারতে সংক্রমণ ছড়ানোর হার কমেছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল বলেন, “দ্বিগুণ সংক্রমণের সংখ্যা দিন বেড়ে হয়েছে ৭.৫, আগে অর্থাৎ লডাউনের আগে ছিল ৩.৪ দিন”। এটি “খুবই ইতিবাচক দিক” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“এতে সুরক্ষা সুনিশ্চিত হবে”, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলায় কঠোর আইন নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী
২ এপ্রিল ২১১টি জেলায় করোনা ছড়িয়েছিল, তা বেড়ে হয়েছে ৪০৩টি জেলায়, মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্তের ৪৫ শতাংশ রয়েছে ৬টি বড় শহরে।
করোনা সংক্রমণের একবারে শীর্ষে রয়েছে মুম্বই, সেখানে সংখ্যাটা ৩,০০০ এরও বেশি, দিল্লিতে সংক্রমণের সংখ্যা ২,০৮১, আহমেদাবাদ ১,২৯৮, ইন্দোর ৯১৫, পুনে ৬৬০, এবং জয়পুর ৫৩৭।
সংক্রমণের ৬০ শতাংশ রয়েছে প্রথম পাঁচটি রাজ্যে, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, রাজস্থান, এবং তামিলনাড়ু।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, লাল এলাকাগুলিতে বেশি নজর দিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা, যেমন দিল্লি এবং মুম্বই, অন্যগুলিকে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে করোনা পরীক্ষা নিয়ে গুজব রটছে, ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠিয়েছে কেন্দ্র: মুখ্যমন্ত্রী
সোমবার, লকডাউনের ফলে থমকে থাকা অর্থনীতি চালু করতে গ্রামীণ এলাকার কারখানা এবং কিছু কাজকর্মে ছাড়ের কথা জানায় সরকার। কারণ, লকডাউনের ফলে কর্মহারা হয়েছেন বহু মানুষ এবং খাদ্যশষ্যের অভাব দেখা গিয়েছে ফলে ব্যাঘাত ঘটেছে সরবরাহে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় লকডাউনে, ৩ মে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারবেন না কোনও মানুষ। ৭ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা করেছে তেলেঙ্গানা।