চিনের (China) উহান শহর থেকে ছড়াতে শুরু করা করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় ওই শহরে আটকে থাকা ২৫০ ভারতীয় পড়ুয়াকে সেখান থেকে বেরনোর অনুমতি দেওয়ার জন্য চিনকে আর্জি জানাতে চলেছে ভারত। উহান ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত প্রায় ৭০০ পড়ুয়া। তাঁদের অধিকাংশই ডাক্তারি পড়তে ওখানে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রোগের প্রাদুর্ভাব এড়াতে ওই শহরের বাসিন্দাদের শহর ছাড়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, উহানের বাসিন্দা প্রায় এক কোটি দশ লক্ষ। এখনও পর্যন্ত ১৩০০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। নিহত ৪১।
চিনা নববর্ষের ছুটিতে অধিকাংশ ভারতীয় পড়ুয়া দেশে ফিরে এলেও এখনও ২৫০ থেকে ৩০০ পড়ুয়া ওই শহরে রয়ে গিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন।
Coronavirus: চিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫, তবে এখনও জরুরি অবস্থা জারি করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
এই পরিস্থিতিতে ২৩ জানুয়ারি শহর ‘সিল' করে দেওয়ার আগে কিছু পড়ুয়া সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। ভারত চিন থেকে, বিশেষত উহান থেকে ভারতে আসা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
সূত্রানুসারে, চিনা বিদেশ মন্ত্রক ও স্থানীয় প্রশাসনকে ভারতের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, আটক ভারতীয় পড়ুয়াদের ভারতে ফেরার ব্যাপারে অনুমতির জন্য।
কতটা ভয়ঙ্কর চিনের নতুন ভাইরাস, জেনে নিন ১০ তথ্য
অন্যান্য দেশ থেকে এসে উহানে আটকে পড়া ব্যক্তিদের সেখান থেকে বেরনোর অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বৃহস্পতিবারই সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁদের তরফে প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা করা হবে।
কেবল উহান নয়, পার্শ্ববর্তী ১৭টি অন্য শহরের বাসিন্দাদেরও শহর থেকে বেরনোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শনিবার ওই শহরের সমস্ত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসটির নাম 2019-nCoV। সার্স ভাইরাসের মতোই ক্ষমতা এই ভাইরাসের। প্রসঙ্গত, ২০০২-০৩ সালে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনে ৩৪৯ জন ও হংকংয়ের ২৯৯ জন মারা যান। সার্স আক্রান্তদের মতোই ওই অসুখের আক্রান্তদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ফুলে যাওয়া কিংবা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
দেখুন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের মতামত: