This Article is From Mar 23, 2020

দেশে লকডাউন, পরিস্থিতির মোকাবিলায় ১০টি পদক্ষেপ করা উচিত সরকারের

বহু শিল্পক্ষেত্রই প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হবে। চাকরি হারাবেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত শিল্পক্ষেত্রকে বাঁচাতে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা।

দেশে লকডাউন, পরিস্থিতির মোকাবিলায় ১০টি পদক্ষেপ করা উচিত সরকারের

করোনা আক্রান্ত ভারতে সোমবার থেকে বহু অঞ্চলে লকডাউন।

নয়াদিল্লি:

করোনা (Coronavirus) রুখতে মহা পদক্ষেপ। সোমবার থেকে দেশের বহু অঞ্চলে লকডাউন (Lockdown) শুরু। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের কী করা উচিত?

১) সরকারের এটা মেনে নেওয়া উচিত, এটাই এদেশের ইতিহাসের বৃহত্তম সঙ্কট। এটাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

২) দ্রুত এই সঙ্কটকে সামলাতে ২ লক্ষ কোটি টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা জোগাড় করতে প্রবৃত্ত হওয়া দরকার। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সরকার ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছিল কর বাবদ।

লকডাউন যাঁরা মানবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন

৩) করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা ও চিকিৎসা দু'টিই করতে হবে বিনামূল্যে এবং সকলেই যেন তা সহজে পেতে পারে।

৪) ভারতকে এই সঙ্কটের প্রকৃত স্বরূপ বুঝতে বিশদে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ‘যে শত্রুকে দেখতে পাচ্ছ না, তার সঙ্গে লড়াই করা যায় না।' দক্ষিণ কোরিয়া এই নীতি নিয়ে তৎক্ষণাৎ বেসরকারি ল্যাবগুলিকেও পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল। ভারতকেও সরাসরি সেই পদক্ষেপ করতে হবে। আমেরিকা ও ইউরোপও তাই করেছে।

"অনেকেই লকডাউনের গুরুত্ব বুঝছেন না": করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদি

৫) বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে অনুমতি দেওয়া হোক করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা করার।

৬) নমুনা সংগ্রহ করা হোক বাড়ি থেকে। কাউকে যেন হাসপাতালে না আসতে হয় নমুনা দিতে। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়বে।

৭) আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য বাজেটে যা বরাদ্দ থাকে তা এই খাতে খরচ হোক।

ক) আগামী দু'মাস অতি দরিদ্রদের মাসিক ৫,০০০ টাকা করে দেওয়া হোক।

খ) করোনার চিকিৎসা বাবদ খরচ দেওয়া হোক বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। পাশাপাশি পরীক্ষার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও দেওয়া হোক খরচ।

গ) চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভস ও পোশাকের সরবরাহে টান পড়তে পারে। তাই যত বেশি সম্ভব বিদেশ থেকে এগুলি আমদানি করা হোক।

৮) আমাদের বিপুল খাদ্যভাণ্ডার থেকে আগামী দু'মাস খাদ্যশস্য দেওয়া হোক বিনা খরচে।

৯) বহু ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। বহু শিল্পক্ষেত্রই প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হবে। চাকরি হারাবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত শিল্পক্ষেত্রকে বাঁচাতে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা।

১০) আইসিএমআর-এ নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে লক্ষ রাখা হোক ভারতে করোনা সংক্রমণের স্টেজ-৩ (যখন একে অপরকে সংক্রামিত করতে শুরু করবে নাগরিকরা)শুরু হয়ে গিয়েছে কিনা। যদি তা হয় তাহলে প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে দেশকে লকডাউন করা হোক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনমতো সেনাকে তৈরি রাখা হোক পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য।

.