Read in English
This Article is From Apr 15, 2020

সরকারি সাহায্য না পেলে ভারতের বিমান সংস্থাগুলির বিপর্যয় আরও বাড়বে

১৪ এপ্রিল লকডাউন শেষ হয়ে যাবে মনে করে যে যাত্রীরা বিমানের টিকিট কেটেছিলেন তাঁদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়ার পরিস্থিতিতে নেই দেশের বিমান সংস্থাগুলি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by

Lockdown: বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে এখন তাকিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের দিকে

New Delhi :

সরকারি কোনও সাহায্য না পেলে দেশের বিমান সংস্থাগুলি (Aviation Sector) দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগিয়ে যেতে পারে। কোভিড-১৯ (COVID-19) মোকাবিলায় দেশব্যাপী লকডাউনের (Lockdown) ফলে দেশে বন্ধ সমস্ত রকম উড়ান। কেবল কার্গো বিমানগুলি চলাফেরা করছে। মঙ্গলবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব প্রস্তাব মেনে ১৪ এপ্রিল লকডাউন শেষ হয়ে যাবে মনে করে যে যাত্রীরা বিমানের টিকিট কেটেছিলেন তাঁদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়ার পরিস্থিতিতে নেই দেশের বিমান সংস্থাগুলি স্পাইস জেট, ভিস্তারা, ইন্ডিগো, গোএয়ার-এর মতো বিমান সংস্থাগুলি তাদের যাত্রীদের জানিয়ে দিয়েছে, ৩ মে পর্যন্ত সমস্ত বুকিং বাতিল করে দেওয়া হলেও এখনই তাঁদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। ওই অঙ্কের টাকা জমা রাখা হচ্ছে। আগামী সময়ে টিকিট কাটতে গেলে তখন ওই টাকা খরচ করা যাবে। যদিও নিশ্চিত নয়, এদের মধ্যে বহু বিমান সংস্থা আগামী কয়েক মাস পর কী করে টিকে থাকবে যদি না কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও অর্থসাহায্য করা হয়।

‘সেন্টার ফর এশিয়া প্যাসিফিক এভিয়েশন'তথা ‘কাপা'-র তরফে জানানো হচ্ছে, অধিকাংশ বিমান সংস্থাগুলিরই তৈরি করা বিজনেস মডেল নেই যার দ্বারা বর্তমান ধাক্কার মোকাবিলা করা যায়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি কিংবা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মতো পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ক্ষমতাও তাদের নেই।

এদের মধ্যে বহু বিমান সংস্থা আগামী কয়েক মাস পর কী করে টিকে থাকবে যদি না কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও অর্থসাহায্য করা হয়

বহু দেশ এরই মধ্যে তাদের বিমান সংস্থাগুলির বিপর্যয়ের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ও বহু মানুষের কর্মহীন হওয়া আটকাতে পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু ভারতে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
সিঙ্গাপুর কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশ, যাদের অর্থনীতি সরাসরি নির্ভর করে উড়ান পরিষেবার উপরে তারা নগদ অর্থ দিয়ে বিমান সংস্থাগুলির পাশে দাঁড়াতে পদক্ষেপ করেছে। আমেরিকাও ৭১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা করেছে।

ভারতের বিমান সংস্থাগুলি এমনিতেই সমস্যায় রয়েছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও ভারতীয় টাকার মান পড়ে যাওয়াতে। অনেক সংস্থাই জ্বালানির খরচ কমিয়ে অন্যান্য খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজেদের খরচ কমায়। এবার তারাও খুব সমস্যায় রয়েছে।

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি কিংবা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মতো পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ক্ষমতাও তাদের নেই

কর্মীদের বেতন দেওয়া নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইন্ডিগো, গোএয়ার ও স্পাইসজেট-এর মতো সংস্থাগুলি এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে বেতন দিতে সমস্যা হচ্ছে তাদের। গোএয়ার তাদের ভিনদেশি পাইলটদের ছুটি দেওয়ার পাশাপাশি অন্য কর্মীদেরও বৃত্তাকারে পালা করে বিনা বেতনের ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

এদিকে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষে কেবল কার্যকরী ত্রাণ-সাহায্যই করা সম্ভব। কিন্তু ‘কাপা'-র মতে এই সাহায্য যথেষ্ট হবে না, বিশেষ করে ছোট সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে।

Advertisement