India COVID-19:আগামী সপ্তাহের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই লকডাউনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, বললেন উপ রাষ্ট্রপতি
হাইলাইটস
- দেশে বর্তমানে ২১ দিনের লকডাউন চলছে
- আগামী ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা
- তবে তারপরেও বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ, ইঙ্গিত ভেঙ্কাইয়া নাইডুর
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ বৃদ্ধি আটকাতে প্রয়োজনে ১৪ এপ্রিলের পরেও বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ, এমনই ইঙ্গিত দিলেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু। "১৪ এপ্রিলের পরেও যদি লকডাউন অব্যাহত থাকে" তবে সেই সিদ্ধান্ত কষ্ট করে হলেও জনগণকে মানতে হবে, এমনটাই বলেন তিনি (Venkaiah Naidu)। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে ইতিমধ্যেই লকডাউনের (Lockdown) মেয়াদ বাড়ানোর ডাক দিয়েছে তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ এবং অসমের মতো রাজ্যগুলো। "আসুন আর একটু কষ্ট করে আরও কিছুদিন কাটিয়ে দিই", মঙ্গলবার লকডাউন প্রসঙ্গে এমন কথাই বললেন উপরাষ্ট্রপতি। তবে কি লকডাউন দীর্ঘায়িত করারই ইঙ্গিত দিলেন ভেঙ্কাইয়া? এমন কথাও বলছেন অনেকে। ২৫ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে টানা ২১ দিনের লকডাউন করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১৪ এপ্রিল এই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
অবশ্য নিশ্চিত করে লকডাউন পর্ব আরও বাড়ার কথা না বললেও, ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মতে সংক্রমণ এড়াতে যদি কিছু নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হয় তবে তা মেনে চলাই উচিত। তবে এখনই লকডাউনের বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, একথাও জানান উপরাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তবেই লকডাউনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু দেশে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন রফতানি করার সিদ্ধান্ত ভারতের
লকডাউনের মধ্যেও যে হারে গোটা দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে এভাবে চলতে থাকলে লকডাউন শেষ হতে না হতেই ওই মারণ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭,০০০ ছাড়িয়ে যাবে, এমন ভয়ের পরিসংখ্যানই দিচ্ছেন সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বর্তমানে প্রতি ৪ দিন অন্তর দ্বিগুণ হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই লকডাউন শেষ হবে আগামী ১৪ এপ্রিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্ত ৪,৪২১। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় এখনও পর্যন্ত ভয়ঙ্কর ওই রোগে মৃত মোট ১১৪ জন।
Coronavirus : করোনার টার্গেটে এবার না-মানুষরা! ঘরের পোষা কুকুর সহ সব পোষ্যদের আগলে রাখার পরামর্শ কেন্দ্রের
গত মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় ইসলামী সম্প্রদায় তাবলিগ-ই-জামাত একটি বিরাট ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করে যাতে যোগ দেন বহু বিদেশিও। ওই জমায়েত থেকেই করোনা সংক্রমণ হু-হু করে ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে যেখানে এখন ভারতে প্রতি ৪.১ দিন পরেই দ্বিগুণ হচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, সেখানে নিজামুদ্দিনের ওই ধর্মীয় সমাবেশ থেকে সংক্রমণ না ছড়ালে করোনা বৃদ্ধির হার দেশে যথেষ্ট কম ছিল। সেই সময় প্রতি ৭.৪ দিন অন্তর দ্বিগুণ হচ্ছিল আক্রান্তের সংখ্যা।
সোমবারও যদিও ঘুরিয়ে লকডাউন বাড়ার ইঙ্গতি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় তিনি বলেন, "এই লড়াই দীর্ঘদিনের লড়াই হতে চলেছে, এখনই আমাদের ক্লান্ত হয়ে পড়লে চলবে না, আমাদের সংকল্প ও লক্ষ্য একটাই, যেকোনও ভাবে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতে হবে"।