Coronavirus: দিল্লির নিজামুদ্দিনের বিল্ডিং এ জমায়েতের ফলে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ে
হাইলাইটস
- দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন-কাণ্ডে ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
- যে তালিকায় আছেন আয়োজক কমিটির মুখ্য মৌলবিও
- এখনও পর্যন্ত সেই জমায়েত থাকা শতাধিক মানুষের দেহে সংক্রমণ মিলেছে
নয়া দিল্লি: দিল্লিতে সদর দফতরে তবলিঘি জামাতের (Tablighi Jamaat) জমায়েতের পর, ওই জায়গাটি করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) অন্যতম আতুঁরঘর হয়ে উঠেছে, সংগঠনটির প্রধান মৌলানা সাদ (Maulana Saad), এবং আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মার্চে তবলিঘি জামাতের ওই জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও, সেখানেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম লঙ্ঘিত হয়। এরপর তাঁরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যান, ফলে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ে। গত তিনদিনে মার্কাজ নিজামুদ্দি থেকে ২,০০ জনেরও বেশি মানুষকে বের করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, মৌলানা সাদ নিখোঁজ, শনিবার তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, সেই সময় সবেমাত্র করোনা ভাইরাস ছড়াতে আরম্ভ করে।
মৌলানা সাদ ছাড়াও, দিল্লি পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে নাম রয়েছে জিশান, মুফতি শেহজাদ, এম সফি, ইউনুস, মহম্মদ সলমন, এবং মহম্মদ আশরাফের। তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারি সংক্রান্ত আইনে মামলা রুজ করা হয়েছে বলে জানান দিল্লি পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব।
এফআইআরে বলা হয়েছে, ওই জমায়েতের নেতৃত্বে ছিলেন এই সাতজন, এবং ২৪ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করা সত্ত্বেও সেখানে আসা ব্যক্তিদের বিল্ডিং এ থাকতে দিয়েছিলেন এই সাতজন।
লকডাউনের মধ্যেও স্বস্তি মধ্যবিত্তের, মেট্রো শহরগুলোতে কমল ভর্তুকিহীন গ্যাসের দাম
এদিকে, দিল্লি পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এ উল্লেখ, "যে ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁরা জমায়েতে ইন্ধন জুগিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অনেককে একসঙ্গে একটা ঘরে থাকতে অনুমতি দিয়েছেন।" জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১২৮ জন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাওয়া গিয়েছে। যে বা যারা এই সম্মেলনে ছিলেন। সন্দেহভাজন আরও শতাধিক। দিল্লি সরকার ও পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, আয়োজক কমিটিকে বলা হয়েছিল জমায়েত যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি ২৪ মার্চের আগে মার্কাজ নিজামুদ্দিন খালি করে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।
দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪০, মৃতের সংখ্যা পৌঁছল ৩৮-এ
যদিও প্রশাসনে এই দাবি উড়িয়ে আয়োজক কমিটির বক্তব্য, "আমরা যে সময় নোটিশ হাতে পেয়েছি, ততক্ষণে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর লকডাউন ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যে, যেখানে আছেন, দয়া করে আগামী ২১ দিন সেখানেই থাকুন। আমরা সেই নির্দেশ পালন করেছি মাত্র।"