দুর্দিনে পরিবারগুলির কাছে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ ওই মাঝি। (এএনআই)
হাইলাইটস
- কেরলের এক দ্বীপে আটকে রয়েছে ৬০টি পরিবার
- ওই পরিবারগুলিকে সব প্রয়োজনীয় সামগ্রী এনে দিচ্ছেন এক মাঝি
- তিনি জানাচ্ছেন, ওই মানুষগুলিকে সাহায্য করা তাঁর কর্তব্য
আলাপুজা: দেশজুড়ে ২১ ঘণ্টার লকডাউন (Lockdown)। এই পরিস্থিতিতে কেরলের (Kerala) এক দ্বীপে আটকে রয়েছে ৬০টি পরিবার। যাতায়াতের সব উপায় বন্ধ। এই দ্বীপেরই বাসিন্দা তাঁরা। কিন্তু লকডাউনে দ্বীপ থেকে অন্যত্র যাওয়া অসম্ভব। আর এই দুর্দিনে পরিবারগুলির কাছে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ এক মাঝি। আপাতত তিনিই ওই পরিবারগুলির মুশকিল আসান। সাবু নামের ওই মাঝির কাছে রয়েছে ইঞ্জিনচালিত এক নৌকা। আর সেই নৌকা করেই এই অসহায় মানুষগুলির কাছে তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। নিকটবর্তী আলাপুজা বাজার থেকে সামগ্রী কিনে আনছেন তিনি। শুক্রবার সাবু জানালেন, ‘‘ওঁরা আমাকে ফোন করে বলে দেন কার কী লাগবে। আমি সব মালপত্র কিনে আনি শহর থেকে। আর এখানে এসে ওঁদের বাড়িতে পৌঁছে দিই। লকডাউন থাকার কারণে এখানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ফেরি চলাচল। তাই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয় নিয়েও ওই ৬০টি পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই হচ্ছে। ওঁরা আমার উপরে নির্ভর করছেন যে।''
"বাস্তবটা বুঝুন": প্রধানমন্ত্রীর মোমবাতি জ্বালানোর আবেদনকে কটাক্ষ বিরোধীদের
সাবু জানাচ্ছেন, এটা তাঁর কর্তব্য— ওই বিপন্ন মানুষগুলির পাশে দাঁড়ানো।
দ্বীপের এক বাসিন্দা ওমানা জানাচ্ছেন, লকডাউনের পর থেকে সাবুর উপরে নির্ভর করে বেঁচে রয়েছেন তাঁরা। তিনি বলছেন, ‘‘আমরা সব কিছুই শহর থেকে কিনে আনতে পারি নৌকায় যাতায়াত করে। কিন্তু লকডাউন হওয়ার পর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ সাবুকে, ওঁর জন্যই আমরা না খেয়ে বেঁচে আছি।''
করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় গ্রামে ঠাঁই হয়নি, নৌকাতেই বাস বৃদ্ধের!
দ্বীপের আর এক বাসিন্দা সাজি জানাচ্ছেন, লকডাউনের ফলে বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তাঁদের। কেবল সাবু আছেন বলেই তাঁরা সময়মতো খাওয়াদাওয়া করতে পারছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে ২১ দিন। করোনা সংক্রমণ রুখতে এই লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে আড়াই হাজার। মৃত ৭৩।