This Article is From Apr 11, 2020

এক শতাংশেরও কম স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে পিপিই কিট।কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে উদ্বেগ

এক শতাংশেরও কম করোনা যোদ্ধার কাছে পিপিই মাস্ক পৌঁছেছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটা নথি হাতে পেয়েছে এনডিটিভি। সেই নথিতে এমন পরিসংখ্যান উল্লেখ করা আছে।

৩৯টি দেশীয় সংস্থাকে প্রায় ৭০ লক্ষ পিপিই কিট সরবরাহের বরাত দিয়েছে কেন্দ্র

হাইলাইটস

  • এক শতাংশের কম স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে পিপিই কিট। মন্ত্রকের তথ্যে উদ্বেগ
  • ৭০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে মাত্র ৫৫ হাজার পেয়েছেন এই প্রোটেকটিভ গিয়ার
  • ৩৯টি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে পিপিই কিট সরবরাহে
নয়া দিল্লি:

এক শতাংশেরও কম করোনা যোদ্ধার কাছে পিপিই মাস্ক (PPE Kit) পৌঁছেছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) একটা নথি হাতে পেয়েছে এনডিটিভি। সেই নথিতে এমন পরিসংখ্যান উল্লেখ করা আছে। জানা গিয়েছে, গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ (Corona) প্রতিরোধে মোট ৭০ লক্ষ করোনা যোদ্ধা সক্রিয়। চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে এই সংখ্যার মাত্র ৫৫ হাজার কর্মী পিপিই গিয়ার ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ ১%-এর কম। পাশাপাশি কেন্দ্র এযাবৎকাল প্রায় এক কোটি এন-৯৫ মাস্ক (N95 Mask) সরবরাহের বরাত দিয়েছে একাধিক সংস্থাকে। কিন্তু মাত্র ২১ লক্ষ মাস্ক হাতে পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে সেই নথিতে। পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক মজুতের দায়িত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত এইচএলএল লাইফ কেয়ার লিমিটেড। তাই কালোবাজারি ও মজুতদারি রুখতে এই মর্মে অঙ্গ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকাকে অবগত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

করোনাকে কাবু করতে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন তৈরির লাইসেন্স পেল বেঙ্গল কেমিক্যালস

মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় কেন্দ্রগুলোকে স্পষ্ট করা হয়েছে, কাউকে পৃথক করে মাস্ক আর পিপিই কিট কিনতে হবে না। কেন্দ্রীয় ভাবে এই সামগ্রি মজুত করা হবে। প্রয়োজন মতো রাজ্যগুলোকে সরবরাহ করা হবে।" এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের পর্যালোচনা বৈঠকেও পিপিই কিটের আকালের অভিযোগ তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭০ লক্ষ কিট আর এক কোটি মাস্ক সরবরাহের বরাত একাধিক দেশীয় সংস্থাকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে ৩৯টি সংস্থার কাছে কিট সরবরাহের বরাত গিয়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র ৮টি সংস্থা সরবরাহ শুরু করেছে। এমনটাই উল্লেখ এনডিটিভির হাতে আসা সরকারি সেই নথিতে। বাকি ৩১টি সংস্থা পিছিয়ে কেন? এই প্রশ্ন তাদের করা হলে, যুক্তি পাওয়া গিয়েছে; লকডাউনের জেরে জারি একাধিক বিধিনিষেধের ফলে ব্যাহত সরবরাহ। 

করোনার ছড়িয়ে পড়া রুখতে রাজ্যের ১০ টি অঞ্চলকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করল সরকার

এদিকে, আরও অন্তত দু'সপ্তাহ বাড়ানো হোক লকডাউন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন আর্জি জানালেন অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। সেই আর্জি খতিয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আপাতত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়তে পারে চলতি লকডাউন। তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। এই মর্মে সরকারি ঘোষণা শনিবার সন্ধ্যা কিংবা রবিবার সকালে হতে পারে। শনিবার সকাল ১১ টাথেকে প্রায় ৪ ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান-সহ প্রায় ১২টি রাজ্য অন্তত আর দু'সপ্তাহ অর্থাৎ ৩০এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। সেই আর্জির সঙ্গে সহমত প্রধানমন্ত্রীও। এদিন এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় একটা সূত্র। যদিও সরকারি ঘোষণা এখনও করা হয়নি, তবে দু'সপ্তাহ লকডাউন বাড়াতে কেন্দ্র-রাজ্য সহমত। এটা নিশ্চিত হয়েছে সেই পর্যালোচনা বৈঠকে। 

.