This Article is From Apr 15, 2020

কুমন্তব্য, রোগীদের তাণ্ডব! ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে বাঁচলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা

জেএনএলপি হাসপাতাল সুত্রে খবর, তাবলিগ-ই-জামাত সংগঠনের কয়েকজন সংক্রমিত এই তাণ্ডবের নেপথ্যে

কুমন্তব্য, রোগীদের তাণ্ডব! ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে বাঁচলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা

দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতাল রাজ্যের অন্যতম করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র।

নয়া দিল্লি:

সংক্রমিত রোগীদের (Patients allegedly assaults) তাণ্ডবে পুলিশ ডাকতে বাধ্য হল দিল্লির এক সরকারি হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাজ্যের লোকনায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ বা এলএনজেপি হাসপাতালে (LNJP Hospital in Delhi) তাণ্ডব শুরু করেন সংক্রমিতরা। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই তাণ্ডবের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে নিজেদের লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমন অভিযোগ তুলেছে সেই হাসপাতাল। বাধ্য হয়ে সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য তৈরি বিশেষ ওয়ার্ডের জন্য সশস্ত্র বাহিনী চেয়ে দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ ওই হাসপাতাল। জেএনএলপি হাসপাতাল সুত্রে খবর, তাবলিগ-ই-জামাত সংগঠনের কয়েকজন সংক্রমিত এই তাণ্ডবের নেপথ্যে। হাসপাতাল সুপারের কাছে পাঠানো আবাসিক চিকিৎসক (Residential Doctors) সংগঠকের তরফে অভিযোগ, "সংক্রমণ সন্দেহে চিকিৎসাধীন এক রোগী মঙ্গলবার প্রথম হেনস্থা করা শুরু করেন। মহিলা আবাসিক চিকিৎসকের প্রতি অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন সেই রোগী।" চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ করে অন্য সহকর্মীরা এগিয়ে এলে আরও তাণ্ডব শুরু করেন সেই রোগী। অন্যদের ঐক্যবদ্ধ করে  চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালান হয়। অভিযুক্তরা হুমকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে ডিউটি রুমে লুকোতে বাধ্য করেন। এরপর চিকিৎসকরা হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্য চাইলেও কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। যেহেতু তাঁদের কাছে পিপিই কিট নেই, তাই ওয়ার্ডে ঢুকতে অস্বীকার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর ওদের পৃথক কিট দেওয়া হলে ওয়ার্ডে ঢুকে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন হাসপাতালের মার্শাল ও নিরাপত্তারক্ষীরা।

জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করার আর্জি জানিয়ে হাসপাতাল সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন আবাসিক চিকিৎসকরা। পাশাপাশি হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও সিনিয়র চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগে তুলে সেই চিঠিতে সরব হয়েছেন আবাসিক চিকিৎসকরা। চাওয়া হয়েছে ওই বিশেষ করোনা ওয়ার্ডের জন্য সশস্ত্র নিরাপত্তাবাহিনীও। সেই চিঠি পেয়ে এলজেপিএন হাসপাতালের এমডি দিল্লি পুলিশের কাছে আরও বাহিনী চেয়ে দরবার করেছেন।  

পাশাপাশি সরকারি বিবৃতি দিয়ে বুধবার হাসপাতাল বলেছে, "মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক রোগী আগ্রাসী হয়ে পড়েছিলেন। আমাদের এক মহিলা আবাসিক চিকিৎসককে হুমকি দিতে শুরু করেন। সেই চিকিৎসক ভীত হয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে ডিউটি রুমে পালিয়ে এসে নিজেকে বন্দি করেন। তারপর অভিযুক্ত রোগী, অন্য রোগীদের সাহায্যে হাসপাতালের কর্মীদের ধমকান শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের বাহিনীর মধ্যে তৎপরতার অভাব ছিল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সিনিয়র চিকিৎসকদের থেকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।" 

.