বাস ও অন্যান্য যানবাহন পরিষেবায় ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার
নয়াদিল্লি:
করোনা ভাইরাস লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল ৩১ মে পর্যন্ত, তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বল ঠেলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের কোর্টেই, করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যগুলিকে লাল, কমলা, বা সবুজ জোনে ভাগ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জোনে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। বাস ও অন্যান্য যানবাহন পরিষেবায় ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বিমান, মেট্রো, জিম সেন্টার, সিনেমাহল, বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে। কড়াকড়ি জারি রেখে চালু করা যাবে কাজের জায়গা, এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়। দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, নতুন রূপে আসবে পরের পর্যায়ের লকডাউন।
এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কার্ফু জারি রেখে কেন্দ্রীয় সরকার, দিনে চলাফেরা করতে পারবে সাধারণ মানুষ। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ৬৫ বছরের বেশি এবং ১০ বছরের কম বয়সীরা এবং শারিরীক অসুস্থ ও গর্ভবতী মহিলাদের বাইরে যাওয়া উচিত হবে না।
রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে, করোনার পরিস্থিতি বিবেচনা করে লাল, কমলা ও সবুজ জোনে ভাগ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তবে তা নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতি ও সেই জায়গায় অর্থনৈতিক কার্যকলাপের ওপর। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের আলোচনায় এই দাবি তোলা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসন ঠিক করবে লাল ও কমলা এলাকাগুলিতে কন্টেনমেন্ট জোন ও বাফার জোন, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা বিবেচনা করে তা ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
বাস ও অন্যান্য গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হবে, তা আন্তঃরাজ্য ও রাজ্যের মধ্যেই যদিও তা ঠিক করবে রাজ্য সরকার, এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যতদিন সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ চালাতে হবে। কাজের জায়গায়, কাজের সময়সীমা পরিবর্তন করতে হবে। থার্মাল স্ক্রিনিং, হাত ধোওয়া এবং সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার বিধি মেনে চলতে হবে।
বাজার ও সমস্ত দোকান খোলা যাবে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। যদি খোলা হয়, তবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। কন্টেনমেন্ট জোন, যেগুলিতে বেশি পরিমাণে আক্রান্ত রয়েছেন, সেখানে কোনও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নয়,
যে সমস্ত ক্ষেত্রে বড় জমায়েত হয়, সেগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে, শপিং মল, সিনেমা হল, জিম সেন্টার, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার, অডিটোরিয়াম, হোটেল, রেস্তোঁরা, এবং অন্যান্য আতিথেয়তামূলক পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
ক্রীড়াকেন্দ্র বা স্টেডিয়াম খোলা রাখা যাবে, তবে কোনও দর্শক রাখা যাবে না বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
যে কোনও বড় জমায়েত নিষিদ্ধ থাকবে। সমস্তরকম ধর্মীয় জমায়েত বা প্রার্থনাকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। ধর্মীয় সভা বন্ধ রাখতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৯০,৯২৭ জন, একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ৪,৯৮৭ জন। মৃতের সংখ্যা ২,৮৭২ জন এবং আরোগ্যলাভের সংখ্যা ৩৪,০০০ এর বেশি।
Post a comment