This Article is From May 13, 2020

চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন অন্যরকম হবে, কোভিড-১৯ কে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Coronavirus: ২৫ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন জারি করে কেন্দ্র, এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে লকডাউনের বিধিনিষেধ, কিছু এলাকায় শিথিল করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা

চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন অন্যরকম হবে, কোভিড-১৯ কে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

PM Narendra Modi: "মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করবে করোনা ভাইরাস তা হতে দেওয়া যায় না", বলেন প্রধানমন্ত্রী

হাইলাইটস

  • চতুর্থ পর্যায়ে লকডাউন বাড়ানোর বিষয়টি মঙ্গলবারই একরকম নিশ্চিত করলেন মোদি
  • "সব রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে", বলেন তিনি
  • দেশের আর্থিক পরিস্থিতির মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা তাঁর
নয়া দিল্লি:

করোনা সংক্রমণকে (Coronavirus) ঠেকাতে ১৭ মে তারিখের পর লকডাউনের মেয়াদ যে আরও বাড়ছে তা একরকম নিশ্চিত করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার নিশ্চিত করে তিনি (PM Narendra Modi) জানান যে, গোটা দেশেই লকডাউন (Lockdown) চতুর্থ পর্যায়েও সম্প্রসারণ করতে হবে, তবে বর্তমানের লকডাউনের বিধিনিষেধ থেকে "সম্পূর্ণ আলাদা" ধরণের হবে। "বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা ভাইরাস এখন আরও কিছুদিন এখানেই থাকবে। কিন্তু তা বলে তো আমরা আমাদের জীবনকে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করুক এটা হতে দিতে পারি না। আমাদের এর সঙ্গেই বাঁচতে হবে। আমরা মাস্ক পরবো এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখব তবে আমাদের স্বপ্নগুলোকে কিছুতেই ত্যাগ করব না", জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি আরও বলেন, "লকডাউন ৪ এর সম্পূর্ণ আলাদা নিয়মকানুন থাকবে এবং রাজ্যগুলির থেকে পরামর্শ নিয়েই এই তালিকা তৈরি হবে। নতুন পদক্ষেপগুলো আগামী ১৮ মে-এর মধ্যেই ঘোষণা করা হবে। আমরা সেই নির্দেশ অনুসরণ করেই লড়াই চালাবো এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাব"।

দেশের মানুষের আর্থিক সহায়তায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার একটি প্যাকেজও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "এই আর্থিক প্যাকেজ আত্মনির্ভর ভারতকে এগিয়ে দেবে। সমস্ত প্যাকেজ জুড়লে ২০ লক্ষ কোটি টাকার মতো হবে। যা দেশের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ। ২০২০ সালে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে নতুন গতি দেবে।" এই প্যাকেজে জমি-শ্রমিক সবকিছুর উপরই নজর দেওয়া হয়েছে। মধ্যবিত্তের জন্যেই এই প্যাকেজ। প্রধানমন্ত্রী এও দাবি করেছেন, "এই প্যাকেজ কৃষি, এমএসএমই, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক সব শ্রেণীর জন্য। আমাদের মনে রাখতে হবে আত্মনির্ভরতা মানে আত্ম-কেন্দ্রিকতা নয়। এতদিন আমাদের গরিব, দুঃস্থ শ্রমিক, মৎস্যজীবী, কৃষকবন্ধুরা, যারা এই সঙ্কটে কষ্ট করেছেন, তাঁদের কষ্ট লাঘব করতেই এই প্যাকেজ"।

২৪ ঘণ্টায় করোনায় ভুগে ১২২ জনের মৃত্যু, দেশ জুড়ে মোট আক্রান্ত ৭৪,২৮১ জন

সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি প্রস্তাব দেন যে ১৭ মে তারিখের পর একবারে লকডাউন না তুলে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ শিথিল করার কথাই ভাবছেন তিনি। "আমাদের সামনে এখন দু'দুটো চ্যালেঞ্জ রয়েছে, প্রথমত এই রোগের সংক্রমণের হার হ্রাস করতে হবে এবং ধীরে ধীরে জনসাধারণ যাতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করতে পারে সেদিকেই নজর রাখতে হবে ও তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে", বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

অর্থনৈতিক প্যাকেজ, লকডাউন সম্পর্কিত বিবরণ নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে প্রধানমন্ত্রী

নরেন্দ্র মোদি বলেন, "লকডাউনকে ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করার দিকে নজর দিতে হবে ঠিকই, তবে আমাদের এটাও সবসময় মনে রাখা উচিত যে আমরা কোনও ভ্যাকসিন বা রোগটিকে আটকানোর বিষয়ে কোনও সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্র যেটা আমাদের হবে তা হল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা"।

এদিকে মঙ্গলবার থেকেই, ভারতীয় রেল দিল্লি থেকে মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা এবং অন্যান্য বড় শহরগুলির মধ্যে দৈনিক ১৫ টি করে ট্রেন চালানো শুরু করেছে।

দেশের অভ্যন্তরের করোনা সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া রুখতে গত মার্চ মাসেই দেশের রেল, সড়ক ও বিমান পরিষেবা পুরোপুরি স্থগিত করা হয়েছিল, কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কঠোর বিধিনিষেধ না থাকলে এই রোগের বিস্তার আরও হতে পারে।

.