করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তবে তারমধ্যে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে সরকারের অন্দরেই। সপ্তাহান্তে সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করার পরেও, সোমবার মন্ত্রকে দেখা যায়নি আধিকারিকদের, গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রকের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, অনুপস্থিতদের বরখাস্ত করা হবে। উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের একটি নোট হাতে এসেছে NDTV এর, “পরিষেবা চালিয়ে যেতে অনিচ্ছুক” সম্পর্কিত নোটটি। ২০ এপ্রিলের মধ্যে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের আধিকারিক ও কর্মীরা মন্ত্রকে কাজ শুরু করতে পারবেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়, নাহলে তাঁদের “অব্যাহতি” দেওয়া হবে।
মন্ত্রকের তরফে সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, “নিন্মে স্বাক্ষরত করে আধিকারিক ও কর্মীদের জানাতে হবে, যে যাঁরা এই বিভাগে কাজ না করতে ইচ্ছুক, প্রতিষ্ঠান নিয়মাবলী অনুযায়ী করতে হবে ২০ এপ্রিল ২০২০ এর মধ্যে, নাহলে তাঁদের মুক্তি দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে”।
যে সমস্ত আধিকারিক এবং কর্মী মন্ত্রকে এসে কাজে যোগ দিতে “অনিচ্ছুক”, তাঁদের সম্পর্কে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছে রাম বিলাশ পাশোয়ান। অন্যান্য মন্ত্রকের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করা হবে কিনা, তা জানানো হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আধিকারিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণা করার পরেই লিখিত নির্দেশিকায় সরকারি দফতর বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
.
আধিকারিকরা জানান, ফোনের মাধ্যমে তাঁদের দফতরে যোগ দিতে বলা হয়, লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, মন্ত্রকের তরফে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে অবাধ্যকারীদের।
মঙ্গলবার ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাশাপাশি উল্লেখ করেন, প্রথম সপ্তাহে কঠোরভাবে লকডাউন পালন করতে হবে এবং দেশের সবচেয়ে কম সংক্রমিত এলাকাগুলি নিয়ে ২০ এপ্রিল পুনর্বিবেচনা করা হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি, মনে করা হচ্ছে, কাজ হবে সরকারি দফতরগুলিতে।
.
World
India
State & District Details
State | Cases | Active | Recovered | Deaths |
---|