করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) দ্রুত হারে সংক্রমণ এড়াতে দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে, আপাতত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এর (Lockdown) মেয়াদ বাড়ানো হবে বলেও সরকারি সূত্র ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে এই লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সমস্ত কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান। এর জেরে ভয়ঙ্করভাবে ধুঁকছে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে দেশের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক পরামর্শ দিয়েছে যে "যথাযথ সুরক্ষা" নিয়ে যদি এই লকডাউন চলাকালীনই দেশের কিছু কলকারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন কাজ শুরুর করার অনুমতি দেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখা হোক। এদিকে দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তের (COVID-19) সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে এখনও পর্যন্ত COVID- 19 প্রাণ কেড়েছে ৩০৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার শিকার হয়েছেন ৩৫ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে মোট ৯,১৫২ জন করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত। একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে লাগাতার করোনা আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধি, ফলে একরকম ধনে-প্রাণে সঙ্কটে পড়েছে গোটা দেশ।
শ্রম আইনে তড়িঘড়ি সংশোধন আনতে অর্ডিন্যান্সের পথে হাঁটবে কেন্দ্র
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে একটি চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রক বলেছে করোনা সংক্রমণ এড়াতে চলতি লকডাউনের মধ্য়ে যদি কিছু ক্ষেত্রে উৎপাদন ফের চালু করা যায় তা বিবেচনা করে দেখতে। কর্মীদের যথাযথ সুরক্ষার আওতায় এনে গাড়ি শিল্প, বস্ত্র শিল্প, প্রতিরক্ষা, ইলেকট্রনিক্স এবং অন্যান্য খাতে উৎপাদন পুনরায় চালু করারই সুপারিশ করেছে মন্ত্রক।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩৫ জনের প্রাণ কাড়ল করোনা, মোট মৃত ৩০৮, আক্রান্ত ৯,১৫২
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, "বোঝাই যাচ্ছে যে কোন পরিস্থিতিতে একেবারে নিরুপায় হয়েই কেন্দ্রীয় সরকারকে এই লকডাউনের সম্প্রসারণ করার কথা ভাবতে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাযথ সুরক্ষা নিয়ে কিছু উৎপাদন কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া উচিত।"
লকডাউনের আওতার বাইরে কোন কোন সংস্থাকে রাখা যাবে তা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য এবং শিল্প সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা উচিত এবং সবদিক বিবেচনা করেই এই সুপারিশ করা হয়েছে, একথাও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। তবে এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব, স্যানিটাইজেশন এবং পারস্পরিক ব্যবধান বজার রাখার উপরেও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই চিঠিতে।