পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের ব্যপক সমালোচনার মুখে পড়ে, তাঁদের নিজেদের রাজ্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা ও আয়ের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, সূত্র মারফৎ জানতে পেরেছে NDTV। যে ১১৬টি জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেশি রয়েছে, সেগুলির তালিকা তৈরি করা হয়েছে, সূত্রের খবর, এলাকা এবং প্রকল্পের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যার আওতায় তাঁরা যথাযথভাবে কাজ করতে পারবেন। সূত্রের খবর, সূত্রের খবর, মানুষ কাজ করবে মনরেগা এভং আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে। জন ধন যোজনা. কিষাণ কল্যাণ যোজনা, খাদ্য সুরক্ষা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো প্রকল্প নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ব্যবহৃত হবে।
বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রকগুলির থেকে মতামত চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
৩০ জুন অবধি রাজ্যে বাড়লো লকডাউন: মুখ্যমন্ত্রী
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই টার্গেট এলাকাগুলি চিহ্নিত করে ফেলেছে সরকার. ১১৬টি জেলার মধ্যে, বেশিরভাগই রয়েছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের, সেগুলিতে রয়েছে যথাক্রমে ৩২ এবং ৩১টি করে জেলা। মধ্যপ্রদেশের রয়েছে ২৪, রাজস্থানের ২২, ঝাড়খণ্ডের ৩, এবং ওড়িশার ৪টি জেলা। যেসমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন তাঁদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বস্তি দিতে নেওয়া পদক্ষেপ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক, কর্মহীন, আশ্রয়হীন, খাবার না পেয়ে রাত কেটেছে তাঁদের। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য সময় না সুযোগ না দিয়ে হঠাৎ করে লকডাউন করার অভিযোগ তুলে এবং পরে ঘোষিত প্রকল্পে তাঁদের জন্য যৎসামান্য কিছু করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দিতে ব্যাপকভাবে একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুসেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে মনরেগার সমালোচনা করে সেটিকে, ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ব্যর্থতার জীবন্ত স্মারক বলে মন্তব্য করেছিলেন ২০১৪ সালে”। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “আজ, প্রধানমন্ত্রীকে সেই আপাতদৃষ্টিতে করা মূল্যায়ন নিয়েই চলতে হবে, যেহেতু মনরেগা দেশের গরীবীর মোকাবিলায় কাজে লাগাছে”।
হাসপাতালে শুধু দিল্লিবাসীর চিকিৎসা! মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত খারিজ উপ-রাজ্যপালের
এর আগে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের নিজেদের রাজ্যে কাজে লাগানোর পরিকল্পনার ইঙ্গিত আসে, গতমাসে সে সম্পর্কে জানান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী এও জানান যে, উত্তরপ্রদেশ থেকে শ্রমিকদের কাজে লাগাতে চাইবে যে সব রাজ্য, তাদের সরকারের থেকে অনুমতি নিতে হবে।
তবে এই পরিকল্পনা কর্নাটক, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য, যেগুলিতে শিল্প ও নির্মাণকার্যে প্রচুর সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন, তাদের বিপক্ষে যেতে পারে।