Coronavirus: রাজ্য সরকারগুলিকে সমস্তক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে কেন্দ্র (ফাইল)
নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস (Coronavirus Pandemic) ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ৭ মে থেকে “ধাপে ধাপে” দেশে ফেরাবে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁদের সফরের জন্য যুদ্ধবিমান এবং নৌসেনার জাহাজ তৈরি রাখা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র, পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, “অর্থানুযায়ী” তাঁদের ফেরানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। যাঁদের শরীরে কোনও সংক্রমণ থাকবে না, তাঁদের কেবলমাত্র ফেরানো হবে। সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিদেশে আটকে পড়া যে সমস্ত ভারতীয়ের দেশে ফেরা বাধ্যতামূলক বা অত্যাবশক, তাঁদের ফেরাবে ভারত সরকার। যুদ্ধবিমান ও নৌসেনার জাহাজ ব্যবহার করা হবে এর জন্য। এর জন্য প্রযোজনীয় নিয়মকানুন তৈরি করা হয়েছে”।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের তালিকা তৈরি করছে ভারতীয় দুতাবাস এবং হাইকমিশন। অর্থ দেওয়া অনুযায়ী এই ফেরানোর কাজ হবে। আকাশপথে ভ্রমণের জন্য নন-সিডিউলড বাণিজ্যিক বিমান ব্যবহার করা হবে। ৭ মে ধাপে ধাপে ফেরানোর কাজ শুরু হবে”।
সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যাত্রীদের শারিরীক পরীক্ষা করা হবে।
কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, “সফরকালে, সমস্ত যাত্রীকে নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে, তারমধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এবং অসামরিক বিমান পরিবহনের নিয়মকানুন”।
সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছে, পৌঁছানোর পরেই, সমস্ত যাত্রীকে “আরোগ্য সেতু” মোবাইল অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গন্তব্যে পৌঁছে, সমস্ত যাত্রীকে আরোগ্যসেতু অযাপে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। সমস্তক যাত্রীর শারিরীক পরীক্ষা করা হবে। খতিয়ে দেখার পর, তাঁদের ১৪ দিনের কোরান্টিনে থাকতে হবে, সেই রাজ্য সরকারের কোয়ারান্টিন অথবা অর্থের বিনিময়ে কোনও কোয়ারান্টিন সেন্টার বা কোনও হাসপাতালে থাকতে হবে তাঁদের। ১৪ দিনের পর তাঁদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হবে, এবং স্বাস্থ্যবিধান অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে”।
যাত্রীদের পৌঁছানো, পরীক্ষা করা এবং কোয়ারান্টিনে রাখার সমস্ত ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে বলেছে কেন্দ্র।
মার্চে ইরান ও চিন থেকে শতাধিক ভারতীয়কে ফিরিয়েছে সরকার। তবে দেশে করোনা ভাইরাস বেড়ে যাওয়ায় দেশী ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তারপরেই সেই কাজ থমকে যায়। গতমাসে সরকারের তরফে বলা হয়, ৩ মে আবারও ফেরানো শুরু হতে পারে, অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন শেষ হওয়ার পর।
সোমবার দেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৮৩ জন। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২,৮৬৩ জন, বেড়েছে ২,৫৭৩জন।