দু'মাস পরে সোমবার থেকে দেশজুড়ে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা (Domestic Flights) শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও দেশের তিনটি ব্যস্ত বিমানবন্দর— মুম্বই, কলকাতা ও চেন্নাই জানিয়েছে, তাদের পক্ষে এখনই এই পরিষেবা শুরু করা সমস্যার। করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের কারণে দেশজুড়ে লকডাউন (Lockdown) চলছে। বন্ধ রয়েছে বিমান পরিষেবাও। অবশেষে সোমবার থেকে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা শুরু করতে চায় কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে শনিবার মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে ১৯ মে তারা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে কেবল বিশেষ উড়ানেরই সম্মতি দেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি করোনা-আক্রান্ত রাজ্য হিসেবে তারা আর নতুন করে বাইরে থেকে ভিড় বাড়াতে চাইছে না।মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র সচিব অনিল দেশমুখ টুইট করে ‘রেড' জোনে বিমানবন্দর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন।
একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তামিলনাডুও। তারা কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রককে অনুরোধ জানিয়েছে অন্তত ৩১ মে পর্যন্ত বিমান পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্তকে পিছিয়ে দিতে।
এদিকে বুধবারের ঘূর্ণিঝড়ে এখনও বিধ্বস্ত রাজ্যের বহু এলাকা। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অন্তত ৩০ মে পর্যন্ত কলকাতায় বিমান পরিষেবা শুরু করা যাবে না। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানাবেন, চাইলে ততদিন পর্যন্ত বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা চালু রাখা যাবে।
কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী শনিবার মেনে নিয়েছেন, সোমবার থেকে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে বহু রাজ্যই আপত্তি জানিয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, জুনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু করার কথাও ভাবছে কেন্দ্র।
তিনি আরও জানাচ্ছেন, অধিকাংশ রাজ্যই যেখানে প্রস্তুত সেখানে কয়েকটি রাজ্য প্রশ্ন তুলছে এখনই আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা শুরুর ব্যাপারে। তিনি বলছেন, ‘‘ওরা জানাচ্ছে, কেন্দ্র অন্তত আরও ২-৩ দিন দেরি করুক। মন্ত্রীরা রাজ্যগুলিকে লিখিত ভাবে একথা জানাতে বলেছেন। কিন্তু তারা তা করছে না।''
গত ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে বাণিজ্যিক যাত্রী বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওইদিন থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হয়ে যায়।