Coronavirus Lockdown: কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা প্রধানমন্ত্রী মোদির দিকে কয়েকটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন
হাইলাইটস
- ২১ দিনের লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিরোধী দল কংগ্রেস
- এই পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের রুটি-রুজির কী হবে? প্রশ্ন রণদীপ সুরজেওয়ালার
- প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের সময়ের আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে কী করছেন?
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) রুখতে লকডাউনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কিন্তু এর ফলে যে বিপুল সংখ্যক মানুষের রুটি-রুজি জোগাড় নিয়ে সঙ্কট দেখা দেবে তার মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী? ঠিক এভাবেই টুইটের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন কংগ্রেস (Congress) মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। দেশে আগামী ২১ দিন পুরোপুরি লকডাউন (Coronavirus Lockdown) পরিস্থিতি চলবে, মঙ্গলবার রাত ৮টার সময় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি জোর দিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে আগামী ২১ দিন এক কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এই ক'দিন কোনওভাবেই ঘর থেকে বেরোনো যাবে না। "মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে পুরো দেশ লকডাউন, পুরো লকডাউনে থাকবে। ভারতকে বাঁচাতে, তার প্রতিটি নাগরিককে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন আপনি, আপনার পরিবার ... দেশের প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি জায়গাকে লকডাউন করে দেওয়া হচ্ছে",ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আগামী ২১ দিনের মধ্যে বাড়ির চৌকাঠ পেরোনোর কথা ভুলে যান ... কারণ আপনি এই লক্ষ্মণ রেখা পার হলে ভাইরাসটিকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসবেন"।
টিভির সামনে বসে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণ শুনতে শুনতে কান ধরলেন যুবক, কেন?
কিন্তু প্রশ্ন হল, এই যে ২১ দিন মানুষ ঘর থেকে বেরোতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে অন্ন জোগান আসবে কোত্থেকে? কীভাবেই বা দিন চলবে দেশের হতদরিদ্র মানুষ বা দিনমজুরদের। ঘরবন্দি থাকলে কাজ নেই, আর কাজে না গেলে রোজগারও নেই। দেশের অসংখ্য 'দিন আনি-দিন খাই' মানুষের মুখে অন্ন জোগানোর ব্যবস্থা করতে কী ভাবছে মোদি সরকার, এ প্রশ্ন করছেন অনেকেই। আর এই প্রশ্নই তুলে ধরেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও। প্রধান বিরোধী দলটির মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, "শ্রদ্ধেয় মোদি জি, দেশ লকডাউন মেনে চলার জন্যে প্রস্তুত, কিন্তু করোনা-মহামারী রুখতে আপনি কী করলেন? করোনা পরিস্থিতির জেরে তৈরি দৈনন্দিন রুটিরুজির সঙ্কটের কী ভাবে সমাধান হবে? গরিব, মজুর, কৃষক, দোকানদারের ২১ দিন কী ভাবে কাটবে? এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরাই বা কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন?"
সুরজেওয়ালা আরও লেখেন, "করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সব রকমভাবে সুরক্ষিত রাখা দরকার। তবে কেন তাঁদের জন্যে এন -৯৫ মাস্ক, থ্রি প্লাই মাস্ক, হ্যাজমাট স্যুট নেই? দেশে মার্চ মাসেই অন্ততপক্ষে ৭.২৫ লক্ষ বডি স্যুট, ৬০ লক্ষ এন -৯৫ মাস্ক, ১ কোটি থ্রি প্লাই মাস্কের প্রয়োজন। আমরা এসব কখন পাব? দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি যে কারোনা ছড়িয়ে পড়ার ৮৪ দিন পরে, আপনার সরকার এতদিন পর ২৪ শে মার্চ তারিখে ভেন্টিলেটর, শ্বাসযন্ত্রের যন্ত্রপাতি এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের রফতানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে। করোনার সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই কি আপনার প্রস্তুতি? এতদিন পর আপনি জেগে উঠলেন!"
১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশ জুড়ে চলবে না কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন, বন্ধ মেট্রোও
"আপনি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে দু'দিন ৫০ মিনিটের দুটি ভাষণ দিয়েছেন। দেশ হতবাক হয়ে দেখেছে যে কোটি কোটি কারখানার শ্রমিক, দিন মজুর, রাস্তার দাঁড়িয়ে যাঁরা জিনিস বিক্রি করেন তাঁরা, শ্রমিক, অসংগঠিত খাতের শ্রমিক, এই সবার এই এতদিন কীভাবে জীবিকা চলবে তার জন্যে একটি শব্দও খরচা করেননি আপনি। কীভাবে তাঁরা আগামী ২১ দিন তাঁদের পরিবারকে খাওয়াবেন ভেবেছেন এই কথা?", তীব্র সমালোচনার সুরে নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্য করে এই প্রশ্নই ছুঁড়ে দিয়েছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা।